Advertisement
১১ মে ২০২৪

জলপ্রকল্প নিয়ে সংঘর্ষ, জখম ৪

স্পঞ্জ আয়রন কারখানার জল প্রকল্পের কাজকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়ালেন জামুড়িয়ার বীরকুলটি গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ। রবিবার ওই সংঘর্ষে জখম হয়েছেন চার জন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
জামুড়িয়া শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০১৬ ০০:৪০
Share: Save:

স্পঞ্জ আয়রন কারখানার জল প্রকল্পের কাজকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়ালেন জামুড়িয়ার বীরকুলটি গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ। রবিবার ওই সংঘর্ষে জখম হয়েছেন চার জন।

স্থানীয় সূত্রে খবর, জামুড়িয়া শিল্পতালুকের একটি স্পঞ্জ আয়রন কারখানা গ্রাম লাগোয়া অজয় নদে একটি জল প্রকল্প তৈরির পরিকল্পনা নেয়। কিন্তু প্রকল্প হলে বর্ষা ছাড়া বছরের অন্য সময় গ্রামে জলসঙ্কট দেখা দিতে পারে, এই আশঙ্কায় বাসিন্দারা আপত্তি জানান। যদিও এর পরে কারখানা কর্তৃপক্ষের তরফে সামাজিক দায়িত্বপালন প্রকল্পে গ্রামে সেচের জল, স্কুল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়। প্রকল্প তৈরির পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের চাকরির প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি গ্রামবাসীদের। কিন্তু প্রকল্পের পাইপলাইনের কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও কারখানার তরফে গ্রামে সেই সব কাজ করা হয়নি বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। সে জন্য প্রায় তিন মাস আগে গ্রামবাসীরা প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দেন।

মাসখানেক আগে অবশ্য স্থানীয় বিডিও-র মধ্যস্থতায় োই স্পঞ্জ আয়রন কারখানা কর্তৃপক্ষ ও গ্রামবাসীদের মধ্যে আলোচনা হয়। ফের জল প্রকল্পের কাজও শুরু হয়। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রতিশ্রুতি পালন করছেন না, এই অভিযোগে ৪ মে গ্রামবাসীরা ফের প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দেন বলে অভিযোগ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার থেকে আবার ওই প্রকল্পের কাজ শুরু করেন কারখানা কর্তৃপক্ষ। পরের দিন, রবিবারই স্থানীয় বাসিন্দারা আবার তা বন্ধ করে ধর্নায় বসেন। ‘বীরকুলটি গ্রাম কমিটি’র সম্পাদক উৎপল রুইদাস অভিযোগ করেন, এ দিন সকালে ওই প্রকল্পের ঠিকাদার তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা রামপ্রসাদ মণ্ডল ও জিতেন চট্টোপাধ্যায় প্রায় পঁচিশ জন বহিরাগত দুষ্কৃতীকে নিয়ে তাঁদের উপরে হামলা চালান। গ্রামবাসীদের লক্ষ করে ইট-পাথরও ছোড়া হয়। ওই হামলার জেরে দু’জন গ্রামবাসী জখম হয়েছেন বলে তাঁর দাবি। এরপরেই পাল্টা হামলারও অভিযোগ ওঠে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, গ্রামবাসীদের উপর হামলার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়তেই বেশ কিছু লোকজন জড়ো হয়ে যান। এরপরেই রামপ্রসাদবাবু ও জিতেনবাবুর বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় বলেও অভিযোগ। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

রামপ্রসাদবাবু ও জীতেনবাবু অবশ্য ধর্নায় হামলার কথা অস্বীকার করেছেন। তাঁদের দাবি, বিরোধী দলের কিছু নেতা রাজনৈতিক কারণে গ্রামের উন্নয়ন আটকে দিতে চাইছেন। তাই বারবার প্রকল্পের কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে। দুই বাড়িতে হামলায় জড়িতদের নামে জামুড়িয়া থানায় অভিযোগও করেছেন তাঁরা। তবে এই ঘটনা নিয়ে কোনও কথা বলতে চাননি কারখানা কর্তৃপক্ষ। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, সকালে গ্রামে গোলমালের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়া হয়েছিল। দু’পক্ষই অভিযোগ করেছে। খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE