Advertisement
০৪ মে ২০২৪

স্কুলের পোশাক সরবরাহে বিতর্ক চিত্তরঞ্জনে

প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়াদের স্কুল-পোশাক সরবরাহ করবে কে, তা নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে বিতর্ক শুরু হয়েছে চিত্তরঞ্জন শিক্ষাচক্রে। সিপিএমের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন এবিপিটিএ-র অভিযোগ, সরকারি নির্দেশ অমান্য করে পোশাক সরবরাহে উদ্যোগী হয়েছে ব্লক প্রশাসন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আসানসোল শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০১৭ ০১:৫১
Share: Save:

প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়াদের স্কুল-পোশাক সরবরাহ করবে কে, তা নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে বিতর্ক শুরু হয়েছে চিত্তরঞ্জন শিক্ষাচক্রে। সিপিএমের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন এবিপিটিএ-র অভিযোগ, সরকারি নির্দেশ অমান্য করে পোশাক সরবরাহে উদ্যোগী হয়েছে ব্লক প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সংগঠনের তরফে সালানপুরের বিডিও ও চিত্তরঞ্জন শিক্ষাচক্রের স্কুল পরিদর্শকের কাছে লিখিত আর্জি জানিয়েছে তারা। যদিও বিডিও তপন সরকারের বক্তব্য, কোনও ভাবেই সরকারি নির্দেশ অমান্য করা হচ্ছে না।

চিত্তরঞ্জন শিক্ষাচক্রে মোট ৭১টি প্রাথমিক স্কুল রয়েছে। আধিকারিকেরা জানান, প্রত্যেক পড়ুয়ার জন্য চারশো টাকা মূল্যের দু’সেট স্কুল পোশাক বরাদ্দ হয়েছে। তবে কোনও পড়ুয়ার হাতেই নগদ টাকা দেওয়ার নিয়ম নেই। তৈরি করা স্কুল-পোশাক দিতে হবে। প্রধান শিক্ষকদের কাছে এই মর্মে নির্দেশিকাও পৌঁছে গিয়েছে। এর পরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। এবিপিটিএ-র রাজ্য সদস্য তথা হিন্দুস্থান কেব্‌লস জুনিয়র বেসিক বাংলা মাধ্যম স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুব্রত ঘোষের অভিযোগ, পোশাক কিনে দেওয়ার দায়িত্ব স্কুল কর্তৃপক্ষের হলেও ব্লকের বিডিও একটি নির্দিষ্ট স্বয়ম্ভর গোষ্টির নাম উল্লেখ করে তাদের কাছ থেকে পোশাক কেনার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর আরও অভিযোগ, এই ব্যবস্থায় পোশাকের গুনগত মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। এই উদ্যোগ বন্ধের আবেদন জানিয়ে বৃহস্পতিবার চিত্তরঞ্জন শিক্ষাচক্রের স্কুল পরিদর্শক ও সালানপুরের বিডিওকে লিখিত আর্জি জানিয়েছেন এবিপিটিএ-র সদস্যেরা। তাঁরা এমনও দাবি করেছেন, ওই স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর কাছ থেকে পোশাক নিতে হলে স্কুল পরিদর্শক ও বিডিও-র কাছ থেকে লিখিত নির্দেশ পেতে হবে, মৌখিক নয়।

সিপিএমের শিক্ষক সংগঠনের এহেন অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানতে চাওয়া হলে স্কুল পরিদর্শক শ্রীকান্ত দোলুই বলেন, নিয়ম হল, পড়ুয়া পিছু স্কুলগুলির প্রাপ্য টাকা আমরা প্রধান শিক্ষকদের মিটিয়ে দেব। কোনোও পড়ুয়াকে নগদ দেওয়া য়াবেনা। পোশাক কিনে দিতে হবে। সেই পোশাক কোথা থেকে আসবে, কে সরবরাহ করবে— পুরোটাই স্কুলের ব্যাপার।’’ স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর কাছে পোশাক নিতে বিডিও-র নির্দেশ প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে চাননি শ্রীকান্তবাবু। বিডিও বলেন, ‘‘এ নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই। এলাকার স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীগুলিকে দাঁড় করাতে জেলাশাসকের নির্দেশে স্কুলগুলিকে তাদের কাছে পোশাক নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কেউ নির্দেশ না মানলে সেটা তাদের ব্যাপার।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

School Dress School
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE