ছবি সংগৃহীত
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে কালনা আদালতের ভিতরে বিচারপ্রার্থীদের প্রবেশে নিয়ন্ত্রণ করা হল সোমবার থেকে।
বিভিন্ন মামলার বিচার, অভিযুক্তদের জামিন, সাক্ষ্যগ্রহণ-সহ নানা কাজে বিভিন্ন আদালতের সামনে বিচারপ্রার্থীদের ভিড় জমে। অন্যথা হয় না কালনা আদালতেও। এ দিন দেখা যায়, সকাল ১০টা বাজতে না বাজতেই মহকুমার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর মানুষের ভিড় জমে গিয়েছে আদালতের আশপাশে। আদালত চত্বর ও আশপাশে টাঙানো রয়েছে করোনাভাইরাস নিয়ে সতর্কবার্তা। আদালতের ভিতরে বিচারপ্রার্থীরা ঢুকতে যাওয়ায় তাঁদের পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয়। উত্তেজনা ছড়ায়।
কালনা বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য পার্থসারথি কর বলেন, ‘‘কেন এমন করা হল তা জানতে নিজে বিচারকের সঙ্গে দেখা করি। তিনি জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কথা ভেবেই এমন সিদ্ধান্ত। ভিতরে ভিড় না করে মামলার প্রয়োজনে কাউকে দরকার হলে তাঁকে বাইরে থেকে ডেকে নেওয়া হবে।’’ এ কথা মানুষজনকে বলার পরেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় বলে দাবি তাঁর। কালনা বার অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য বার কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ২১ মার্চ পর্যন্ত কর্মবিরতির। সিদ্ধান্ত মেনে অ্যাসোসিয়েশনের আইনজীবীরা একই পথে হাঁটবেন।
একই পথে হাঁটলেন বর্ধমান ও কাটোয়া আদালতের আইনজীবীরাও। বর্ধমান আদালতের আইনজীবীরা জানান, আজ, মঙ্গলবার থেকে সওয়াল প্রক্রিয়ায় তাঁরা যোগ দেবেন না। বর্ধমান বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সদন তা বলেন, “বার কাউন্সিলের নির্দেশ মেনে আমরা আদালতের কাজকর্ম থেকে বিরত থাকব। পরবর্তীতে যেমন নির্দেশ আসবে তেমনই হবে।’’ জানা গিয়েছে, দোলের ছুটির পরে সোমবার থেকে পুরোদমে কাজ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অনেক বিচারপ্রার্থী আদালতে আসেননি বলে স্বাভাবিক কাজকর্ম হয়নি। আইনজীবীরা জানিয়েছেন, আগাম জামিনের শুনানি বন্ধ থাকবে। তবে ধৃতদের জামিনের আবেদনের শুনানি হবে। হাইকোর্টের নির্দেশিকায়, খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ধৃতদের আদালতে পেশ করতে নিষেধ করেছে। কাটোয়া বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সৌমেন সরকারও বলেন, ‘‘রাজ্য বার কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy