প্রতীকী চিত্র।
প্রায় ৪৮ ঘণ্টা ধরে খোঁজ মিলছে না কোভিড পজ়িটিভ এক বৃদ্ধের। শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছেন রানিগঞ্জের আলুগড়িয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিএমওএইচ মনোজ শর্মা।
মনোজবাবু এ দিন জানান, বৃহস্পতিবার সত্তোরর্ধ্ব ওই বৃদ্ধের আ্যান্টিজেন পরীক্ষায় কোভিড রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। কিন্তু তার পরে থেকে তাঁর আর খোঁজ মিলছে না। তিনি জানান, পুলিশকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার জন্য বলা হয়েছে। ঘটনাচক্রে, এর আগে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকেই গত ৯ জুলাই নিখোঁজ হওয়া বছর ৪০-এর এক করোনা আক্রান্ত মহিলার সন্ধান মেলেনি।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা পরীক্ষা করাতে গেলে ‘আরটিপিসিআর’ (রিভার্স ট্রান্সক্রিপশন পলিমারেজ় চেন রিঅ্যাকশন) অ্যাপ ‘ডাউনলোড’ করতে হয় ‘গুগল প্লে স্টোর’ থেকে। তার পরে সেই অ্যাপের মাধ্যমে ‘স্পেসিমেন রেফারেন্স ফর্ম’ পূরণ করার সময়ে নাম, ঠিকানা ও একটি ফোন নম্বর দিতে হয়। ফোন নম্বর যোগ করলেই একটি ‘আইডি’ বেরিয়ে আসে। এর পরে ওই ‘আইডি’-র মাধ্যমেই রিপোর্ট জানা যায়। এই পদ্ধতি কার্যকর করতে উপভোক্তার ইউজ়ার আইডি ও পাসওয়ার্ড দরকার, যা শুধু পরীক্ষাকেন্দ্রেই থাকে।
তা হলে কী ভাবে পরপর দু’বার একই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরীক্ষা করানো দুই করোনা রোগীর সন্ধান মিলছে না? স্বাস্থ্যকেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলার ক্ষেত্রে এক স্বাস্থ্যকর্মী এবং এই বৃদ্ধের ক্ষেত্রে এক ডাক্তার নিজেদের মোবাইল নম্বর দিয়েছিলেন। পাশাপাশি, এই দুই রোগীই যে ঠিকানা বলেছিলেন, সেখানে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে বিএমওএইচ জানান, নিঁখোজ দু’জন রোগীরই জ্বর হওয়ায় তাঁরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এসে নিজেরাই পরীক্ষা করান। মানবিকতার খাতিয়ে স্বাস্থ্যকর্মী ও ডাক্তারেরা নিজেদের ফোন নম্বর দিয়ে পরীক্ষা প্রক্রিয়ায় সহায়তা করেছিলেন। তা না হলে, চিকিৎসা না করে ফিরিয়ে দিতে হত। জেলাশাসক (পশ্চিম বর্ধমান) পূর্ণেন্দু মাজি জানান, প্রতিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র, হাসপাতালকে জানানো হয়েছে, যাঁদের পরীক্ষা করানো হচ্ছে, তাঁদের ফোন নম্বর না থাকলে বিশদে ঠিকানা লেখার পরে, পড়শিদের নামও লিখে রাখতে হবে। তার ফলে, এই সমস্যা এড়ানো যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy