মামার বাড়ি বেড়াতে এসে ‘লকডাউন’-এর জন্য আটকে পড়েছিলেন গলসিতে। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার খবর এল, উত্তরপ্রদেশের বাড়িতে মৃত্যু হয়েছে তাঁর স্বামীর। পুলিশ-প্রশাসনের কাছে বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করার আর্জি জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মইনপুরী জেলার বাসিন্দা ফুলবতী গৌতমের। বৃহস্পতিবার সেই ব্যবস্থা হয়নি। স্বামীর মুখ আর দেখা হল না, এই আক্ষেপে বারবারই জ্ঞান হারাচ্ছেন তিনি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তরুণীকে বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করার চেষ্টা চলছে।
ফুলবতীর মামা বিকাশ বাউড়ি থাকেন গলসির স্টেশনপাড়ায়। তিনি জানান, মাস চারেক আগে ফুলবতীর বিয়ে হয়েছিল উত্তরপ্রদেশের ফিরোজবাদের রবিদাসনগরের বাসিন্দা অজয় গৌতমের সঙ্গে। দিন চল্লিশ আগে ফুলবতী গলসিতে বেড়াতে আসেন। ‘লকডাউন’ শুরু হয়ে যাওয়ায় এখানেই আটকে পড়েন তিনি। পরিবার সূত্রে জানা যায়, ফোনে ‘ভিডিয়ো কল’-এ মাঝে-মধ্যেই স্বামী ও পরিজনদের সঙ্গে কথা বলতেন ফুলবতী। ‘লকডাউন’ উঠলেই ফিরে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। দু’দিন আগে তিনি জানতে পারেন, গলা ও মাথায় যন্ত্রণা নিয়ে অজয়কে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ফোনে খবর আসে, অজয়ের মৃত্যু হয়েছে।
বিকাশবাবুরা জানান, এই খবর শোনার পর থেকে বারে বারে অচৈতন হয়ে পড়ছেন ফুলবতী। জ্ঞান ফিরলেই তাঁকে স্বামীর কাছে ফেরানোর জন্য আর্জি জানাচ্ছেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমাকে এক বার স্বামীর মুখ দেখার ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক।’’ যদিও এ দিন তাঁকে উত্তরপ্রদেশে পাঠানোর বন্দোবস্ত হয়নি বলে জানান পরিজনেরা। এক পুলিশ আধিকারিক জানান, তাঁরা বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের চেষ্টা করছেন।