চলছে গোলমাল। দুর্গাপুরে ডিপিএল গেটের সামনে। নিজস্ব চিত্র
অতিরিক্ত সিকিউরিটি ডিপোজিট নিয়ে ডিপিএল কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি দিতে গিয়েছিলেন সিপিএম বিধায়ক ও কর্মীরা। সিপিএম নেতৃত্বের অভিযোগ, পুলিশের সামনেই তাঁদের মারধর করে তৃণমূল।
ডিপিএলের (দুর্গাপুর প্রজেক্টস লিমিডেট) পাঠানো শেষ বিদ্যুৎবিলটি পেয়ে বিপাকে পড়েন দু্র্গাপুরের কয়েক হাজার গ্রাহক। নিয়মিত বিলের সঙ্গে যোগ করা হয়েছে অতিরিক্ত ‘সিকিউরিটি ডিপোজিট’। গ্রাহক বিশেষে তা কয়েকশো থেকে শুরু করে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত। ডিপিএলের দাবি, যা করা হয়েছে তা আইন মেনেই। গ্রাহকেরা তা মানতে নারাজ।
সিকিউরিটি ডিপোজিট বাতিলের দাবিতে আগাম জানিয়ে সিপিএমের ১৩টি গণ সংগঠন প্রায় ন’হাজার গ্রাহকের সই নিয়ে ডিপিএল কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি নেয় শনিবার। লেনিন সরণি থেকে মিছিল বেরিয়ে তা শেষ হয় ডিপিএলের প্রশাসনিক ভবনের সামনে। অভিযোগ, প্রশাসনিক ভবন থেকে ডিপিএলের বাইরে বেরোতেই গেটের কাছে দুষ্কৃতীরা লাঠি, রড নিয়ে সিপিএমের কর্মী-সমর্থকদের উপরে চড়াও হয় তৃণমূল। জখম হন তিন জন। তাঁদের মধ্যে এক জনের মাথা ফেটেছে। দুর্গাপুর পূর্বের সিপিএম বিধায়ক সন্তোষ দেবরায়ও মাথায় চোট পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। তাঁদের সকলকেই দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য পঙ্কজ রায় সরকারের অভিযোগ, ‘‘ডিপিএল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশকে আগাম জানিয়ে এ দিনের কর্মসূচি নেওয়া হয়। তার পরেও তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা হামলা চালাল। তা হয়েছে পুলিশের সামনেই।’’
অভিযোগ, এক সিভিক ভলান্টিয়ারের লাঠি কেড়ে নিয়েও মারধর করা হয়। শুধু তাই নয়, মামলাকারীদের পিছনে তাড়া করে গেলেও তারা পালিয়ে যায়। পুলিশ কাউকে ধরতে পারেনি। সিপিএমের পক্ষ থেকে এই ঘটনা নিয়ে রাত পর্যন্ত থানায় কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি বলে জানা গিয়েছে।
যদিও সিপিএমের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। শাসক দলের জেলা কার্যকরী সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘ডিপিএল থেকে বেরিয়ে কয়েক জন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গালিগালাজ করেছেন। সেই সময়েই তৃণমূলের দু’একজন হয়তো প্রতিবাদ করতে গিয়ে ধাক্কাধাক্কি করেছেন। মারধর হয়নি। খোঁজ নিয়ে দেখছি ঠিক কী হয়েছে।’’ তবে সিপিএম জানিয়েছে, আজ, রবিবার বিকেলে তারা এই ঘটনার প্রতিবাদে কোকআভেন থানা ঘেরাও করবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy