Advertisement
E-Paper

হুমকি-বাধা চলছে, চিঠি সিপিএমের

আসানসোলে আবার মনোনয়ন প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় দিনে কোনও দলের মনোনয়নই জমা পড়েনি। এক দিকে, শাসকদলের বিরুদ্ধে হুমকি, মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে সিপিএম।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০১৮ ০২:৩০

মনোনয়ন তোলার দ্বিতীয় দিনেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠি পাঠালেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায়। শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে হুমকি, ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগের পাশাপাশি নির্বিঘ্নে নির্বাচন সম্পন্ন করতে উপযুক্ত পদক্ষেপ করারও দাবি জানিয়েছেন তিনি। অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের দাবি, প্রাসঙ্গিক থাকতে চিঠি পাঠআনো, অভিযোগ করা ছাড়া পথ নেই সিপিএমের।

আসানসোলে আবার মনোনয়ন প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় দিনে কোনও দলের মনোনয়নই জমা পড়েনি। এক দিকে, শাসকদলের বিরুদ্ধে হুমকি, মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে সিপিএম। তৃণমূলের আবার দাবি, প্রার্থিতালিকা চূড়ান্ত হলেই মনোনয়ন জমা দেওয়া হবে।

সিপিএমের দলীয় সূত্রে দাবি করা হয়েছে, মনোনয়ন তোলার প্রথম দিন সোমবার দুর্গাপুর-ফরিদপুর, অন্ডাল-সহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় প্রার্থীদের মনোনয়ন তুলতে বাধা দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি না বদলালে বিরোধীরা প্রার্থী দাঁড় করাতে পারবে না। মঙ্গলবার দুর্গাপুরের মহকুমাশাসকের কাছে প্রতিবাদ জানিয়ে স্মারকলিপিও দেয় সিপিএম। মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠানো চিঠিতে গৌরাঙ্গবাবু দাবি করেন, জেলার সব ব্লক অফিসের সামনে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা অস্ত্র-সহ জড়ো হয়ে ভয়ে দেখাচ্ছে। এতে বিরোধী প্রার্থীরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে তাঁর অভিযোগ। নির্বাচন নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে কমিশনের কাছে ব্লক অফিসের সামনে অকারণ ভিড় দূর করারও আর্জি জানিয়েছেন তিনি। গৌরাঙ্গবাবু বলেন, ‘‘সাম্প্রতিক বিভিন্ন নির্বাচনে শাসক দল বিরোধীদের উপরে নির্লজ্জ হামলা চালিয়েছে। দুর্গাপুর পুরসভার নির্বাচন যেভাবে হয়েছে তা আর বলার নয়। এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাজ্য নির্বাচন কমিশন গ্রহণ না করতে পারলে পঞ্চায়েত নির্বাচনও প্রহসনে পরিণত হবে।’’ সিপিএম নেতারা জানান, পর্যাপ্ত সশস্ত্র পুলিশকর্মীর ব্যবস্থা করা, বাম প্রার্থীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা, নির্বাচনের সময় বুথের ভিতরে ও বাইরে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করার দাবি জানানো হয়েছে।

তবে নির্বাচন কমিশনের কাছে সিপিএমের এভাবে চিঠি পাঠানোকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। দলের জেলা কার্যকরী সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘গ্রামেগঞ্জে গত কয়েক বছরে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। সিপিএমের পাশে এখন আর কেউ নেই। প্রাসঙ্গিক থাকতে তাই কমিশনের কাছে চিঠি পাঠাতে শুরু করেছে। এতে কোনও লাভ হবে না।’’

এ দিন বারাবনি, সালানপুরে সিপিএম, তৃণমূল দু’দলই মনোনয়ন তুলেছে। সিপিএমের প্রাক্তন সাংসদ ও সালানপুর, বারাবনির ভোটের দায়িত্বে থাকা বংশগোপাল চৌধুরীর অভিযোগ, বাসুদেবপুর, বাউড়িপাড়া, বারাবনির একাধিক জায়গায় তাদের প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে হুমকি দেওয়া হয়েছে। বংশগোপালবাবুর দাবি, ‘‘এখনও আমরা থানায় অভিযোগ করিনি। নিজেরা পরিস্থিতি শোধরাতে না পারলে থানায় যাব।’’ যদিও সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতি শ্যামল মজুমদারের দাবি, ‘‘মনোনয়ন নিয়ে হুমকির অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন। আমরা চাই বিরোধীরা পঞ্চায়েতে থাকুক।’’

তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, সালানপুরে প্রার্থিতালিকা প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। যা সমস্যা রয়েছে তা মিটিয়ে বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমা দেবেন প্রার্থীরা। সিপিএমের দাবি, তাদের প্রার্থিতালিকা তৈরি, কিন্তু জমা দেওয়া নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। এছাড়াও নিয়ম বহির্ভূত ভাবে প্রার্থীর বাড়ির কর, আয় সংক্রান্ত নথিপত্র জমা দিতে জোর করা হচ্ছে বলেও সিপিএমের দাবি। বংশগোপালবাবু বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত ভোটে এটা বাধ্যতামূলক নয়। তবুও এ সব করে আমাদের প্রার্থীদের বাধা দেওয়া হচ্ছে।’’

আসানসোলের মহকুমাশাসক প্রলয় রায়চৌধুরী অবশ্য জানিয়েছেন, প্রার্থীর ক্ষেত্রে ওই সব নথি বাধ্যতামূলক নয়।

Panchayet election পঞ্চায়েত ভোট
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy