মাসখানেক আগে অভিযান চালিয়ে মহকুমা প্রশাসন দেখে কালনার নার্সিংহোমগুলিতে ‘ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিসমেন্ট আইন’ ঠিক মতো মানা হয়নি। এর পরেই ‘সিল’ করে দেওয়া হয় ছ’টি নার্সিংহোম। নার্সিংহোম কর্তাদের দাবি, প্রশাসনের কথা মতো পরিকাঠামো ঠিক করার এক মাস পরেও তা খোলার ছাড়পত্র মিলছে না।
গত পয়লা ডিসেম্বর অভিযানে নেমে প্রশাসনের কর্তারা তিনটি নার্সিংহোম পুরোপুরি এবং তিনটি আংশিক ভাবে ‘সিল’ করে দেওয়া হয়। একটি নার্সিংহোম কর্তাদের বেশ কিছু বিষয় শুধরে নেওয়ার জন্য দিন পনেরো সময় দেওয়া হয়। অভিযান চলাকালীন দু’টি নার্সিংহোমের মালিককেও গ্রেফতার করা হয়।
এর পরে নার্সিংহোমগুলিতে কী কী ত্রুটি নজরে পড়েছে, তা জানিয়ে কালনার মহকুমাশাসক রিপোর্ট পাঠান জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিককে। তার পরে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক চিঠি পাঠান বন্ধ নার্সিংহোমগুলিকে।
কালনা নার্সিংহোম অ্যান্ড ডাইগোন্যাস্টিক সেন্টার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে, কালনা শহর ও লাগোয়া এলাকায় ১৩টি নার্সিংহোম প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে পরিষেবা দেয় তারা। কয়েকটিতে রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্যবিমা যোজনায় বিভিন্ন অস্ত্রোপচার করা হয়। মালিকদের সংগঠনের তরফে অরবিন্দ ঘোষের দাবি, ‘‘দ্রুত ত্রুটি মেরামত করে প্রত্যেকে আলাদা আলদা ভাবে জেলা স্বাস্থ্যআধিকারিকের চিঠির উত্তর দিয়েছেন। সিল হওয়া নার্সিংহোমগুলির খোলার বিষয়ে প্রশাসনের কর্তাদের কাছেও আবেদন জানানো হয়। কিন্তু তার পরেও লাভ হয়নি।’’
নার্সিংহোম মালিকদের দাবি, এই পরিস্থিতিতে এলাকার স্বাস্থ্য পরিষেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। কাজ হারিয়েছেন নার্সিংহোমের কর্মীরাও। তা ছাড়া নার্সিংহোমগুলি বন্ধ থাকার কারণে কালনা মহকুমা হাসপাতালের উপরে রোগীর চাপ আরও বাড়ছে বলে দাবি সুপার কৃষ্ণচন্দ্র বরাইয়ের। মহকুমা হাসপাতালে ২১৪টি শয্যা থাকলেও এখন সেখানে ৩৬০-৩৮০ জন রোগী ভর্তি হচ্ছেন বলে দাবি।
মহকুমাশাসক নিতীন সিংহানিয়া যদিও বলেন, ‘‘জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক বিষয়টি দেখছেন।’’ কালনার এসিএমওএইচ শেখ মোয়ারফ আলি জানান, জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের নির্দেশে বন্ধ নার্সিংহোমগুলির পরিকাঠামো খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়েছে। সেই কাজ শেষ হলে জেলায় রিপোর্ট পাঠানো হবে। তারপরে নার্সিংহোমগুলি খোলার বিষয়ে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক সিদ্ধান্ত নেবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy