পাঁচ দশক ধরে ব্রডগেজ রেলের চাকা তৈরি করেছে সংস্থা। এ বার ন্যারোগেজের চাকা তৈরির বরাত পেল দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্ট (ডিএসপি)। কালকা-সিমলা রুটের ন্যারোগেজ রেলের চাকা তৈরি শুরু হয়েছে কারখানায়। নমুনা হিসেবে ৩৫টি পাঠানো হয়েছিল রেল কর্তৃপক্ষকে। সবুজ সঙ্কেত মেলার পরে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাকা তৈরি শুরু হয়েছে।
ডিএসপি-র ‘হুইল অ্যান্ড অ্যাক্সেল প্ল্যান্ট’-এ নানা ধরনের চাকা ও অ্যাক্সেল তৈরি হয়। শুরু থেকেই রেলের জন্যও সেগুলি তৈরি করে আসছে ডিএসপি। সংস্থার এই প্ল্যান্ট দেশের মধ্যে একমাত্র ‘ফোর্জড হুইল’ উৎপাদক হিসেবে পরিচিত। এই পদ্ধতিতে উৎপাদিত সামগ্রী তৈরির সময়ে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টির বিশেষ কারিগরি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ফলে, উৎপাদিত সামগ্রী টেকসই হয়। তবে অর্থ ও সময়, দুই-ই বেশি লাগে। ডিএসপি সূত্রে জানা গিয়েছে, বছরে গড়ে প্রায় ৫০-৫৫ হাজার রেলের ব্রডগেজের চাকা তৈরি করা হয়। গত বছর প্রথম বার রেলের তরফে ঐতিহ্যবাহী সিমলা-কালকা রুটের জন্য চাকা তৈরির বরাত পায় ডিএসপি।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এত দিন বেঙ্গালুরুতে নিজস্ব কারখানায় ন্যারোগেজের চাকা তৈরি করা হতো। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ঘটনায় ন্যারোগেজের চাকার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তার পরেই ডিএসপি-কে এই চাকা তৈরির প্রস্তাব দেয় রেল। ডিএসপি-র সংশ্লিষ্ট বিভাগ কাজ শুরু করে দেয়। সাধারণত, ব্রডগেজের চাকার পরিধি ৯১৫ মিলিমিটার। সেখানে ন্যারো গেজের চাকার মাপ মাত্র ৫১৩ মিলিমিটার। নমুনা পরীক্ষা করে রেল সবুজ সঙ্কেত দিতেই উৎপাদন শুরু হয়ে যায়। ইতিমধ্যে প্রায় ৩৭০টি চাকা তৈরি হয়ে গিয়েছে। দিন কয়েকের মধ্যেই ডিএসপি-র তরফে সরকারি ভাবে তা ঘোষণা হবে। আরও তিনশো চাকা তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে রেল।
কালকা থেকে সিমলা প্রায় ৯৬ কিলোমিটার রুটে প্রতিদিন ৫ জোড়া টয়ট্রেন চলে। ডিএসপি-র মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক চিন্ময় সমাজদার বলেন, ‘‘ডিএসপি-র সাফল্যের মুকুটে এই উদ্যোগ আর একটা নতুন পালক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy