দুর্গাপুরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বিদ্যাসাগরপল্লিতে। নিজস্ব চিত্র
মাত্র ঘণ্টা দেড়েকের বৃষ্টিতে জলমগ্ন দুর্গাপুরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রীনগরপল্লি, বিদ্যাসাগরপল্লি-সহ কিছু এলাকায়। বেশ কয়েকটি বাড়ি জলমগ্ন হয়ে পড়ে। রবিবার সকালের ঘটনা। সামান্য বৃষ্টি হলেই এলাকায় জল জমছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
রবিবার ভোর থেকে দুর্গাপুরের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি হয়। দুর্গাপুরের ১৫, ২০ নম্বর-সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের অংশ বিশেষ জলমগ্ন হয়ে পড়ে। অন্য জায়গায় জল নেমে গেলেও ২০ নম্বর ওয়ার্ডে দীর্ঘক্ষণ জল জমে ছিল। শ্রীনগরপল্লির বাসিন্দা চম্পা মণ্ডল বলেন, “বৃষ্টি হলেই বাড়িতে জল ঢুকে যায়। সব আসবাবপত্র ডুবে যায়। এ বারেও তার অন্যথা হয়নি।” এলাকাবাসীর অভিযোগ, পুরসভা থেকে সমস্যা মেটাতে স্থায়ী ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে কিছুই হয়নি। এলাকার নিকাশি নালা দীর্ঘদিন বেহাল। সংস্কারের কোনও উদ্যোগ নেই। তাই অল্প বৃষ্টি হলেই জল জমে যায় এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ জানান, রবিবারের বৃষ্টিতে এলাকার কোথাও এক হাঁটু, কোথাও আবার এক কোমর পর্যন্ত জল জমে যায়।
জল জমার খবর পেয়ে পুরসভার সাফাইকর্মীদের নিয়ে এলাকায় যান ২ নম্বর বরো চেয়ারম্যান তথা স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর রমাপ্রসাদ হালদার। বাড়ি থেকে বালতি করে জল বার করার তোড়জোড় চলে। তিনি জানান, জল যাতে দ্রুত বয়ে যায়, সে জন্য কেএমডিএ-র সহযোগিতায় পুরসভা প্রায় সাড়ে সাত কোটি টাকা খরচে বেনাচিতির বেসরকারি ইংরেজিমাধ্যম স্কুল থেকে তামলা নালা পর্যন্ত বিশাল ‘হাইড্রেন’ নির্মাণের কাজ করেছে। তাঁর দাবি, এলাকার নিকাশি নালাগুলিতে বাসিন্দাদের একাংশ প্লাস্টিক, দৈনন্দিন বর্জ্য ফেলে দেন। এর ফলে নিকাশি নালাগুলি বুজে গিয়ে জল আটকে যাচ্ছে।
রমাপ্রসাদের দাবি, “সবাইকে সচেতন হতে হবে। তা না হলে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। সাফাইকর্মীরা ওই সব আবর্জনা নালা থেকে তুলে ফেলার পরে এলাকা থেকে জল নেমে যায়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy