দুর্গাপুরে। সোমবার। নিজস্ব চিত্র
দুর্গাপুর পুরভোট করাতে দেরির বিষয়টি উল্লেখ করে রাজ্য ও তৃণমূলকে বিঁধলেন ডিওয়াইএফের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। পাশাপাশি, দুর্নীতি নিয়েও সরব হয়েছেন তিনি। যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল।
ডিওয়াইএফের ‘ইনসাফ যাত্রা’ শুরু হয়েছে ২৫ দিন আগে। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ ইনসাফ যাত্রা দুর্গাপুরে ঢোকে। দিনভর নানা কর্মসূচির পরে বিকেলে সগড়ভাঙা স্কুল ময়দানের সভা হয়। মীনাক্ষী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা দেবদূত ঘোষ, সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আভাস রায়চৌধুরী-সহ অন্যরা।
মীনাক্ষী সভা থেকেই অভিযোগ করেন, “সরকার দুর্নীতিতে ডুবে রয়েছে। দুর্গাপুরে কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শিল্পাঞ্চল ধুঁকছে। পিসি ভাইপোকে বাঁচাতে দিল্লি যাচ্ছেন।” এর পরেই তাঁর সংযোজন: “সরকার ভয় পাচ্ছে। দুর্গাপুর পুরসভায় আগের নির্বাচনে যে ভাবে ভোট লুট হয়েছে, তাতে এ বার স্বচ্ছ ভোট হলে দুর্গাপুরের মানুষ ওঁদের মুখের মতো জবাব দেবেন। তাই দুর্গাপুরে ভোট করতে ভয় পাচ্ছে।”
২০২২-এর ৫ সেপ্টেম্বর দুর্গাপুরের গত পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়। তার পরে থেকেই পুরসভা পরিচালনার ভার রয়েছে পুরপ্রশাসকমণ্ডলীর উপরে। দ্রুত পুরভোট করানোর দাবিতে ইতিমধ্যেই বিরোধীরা বার বার সরব হয়েছে। তাদের অভিযোগ, ভোট না হওয়ায় পুর-পরিষেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। এই বিষয়ে সরব হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। এই বার ভোটের দাবিতে সরব হতে দেখা গেল মীনাক্ষীকেও। মীনাক্ষীর বক্তব্যে আমল দিচ্ছে না তৃণমূল। পুরপ্রশাসকমণ্ডলীর ভাইস চেয়ারম্যান অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ভোট লুট করে ক্ষমতায় টিকে ছিল সিপিএম। পর পর নির্বাচনে রাজ্যের মানুষ প্রমাণ করে দিয়েছেন, তাঁরা তৃণমূলকেই চান। পুরভোটেও তা প্রমাণ হবে। সিপিএম সাইনবোর্ড। ফলে, ওঁদের নেতানেত্রীর বক্তব্যে মানুষ গুরুত্ব দেন না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy