গাঁধী মোড়ের মেলায় বিকাশ মশানের তোলা ছবি।
রকমারি মিষ্টির পসরা সাজিয়ে এ বারও দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের গাঁধী মোড়ে শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে তিন দিনের মিষ্টি উৎসব। মেলার উদ্বোধন করে গিয়েছেন রাজ্যের প্রাণিসম্পদ দফতরের প্রতিমন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। তিনি বলেন, ‘‘এক জায়গায় এত ধরনের মিষ্টির আয়োজন, সত্যি ভাবা যায় না! আগামি বছর হাতেগরম পিঠে তৈরির ব্যবস্থাও যাতে রাখা যায়, সে ব্যাপারে আমি উদ্যোগী হব।’’
শহরের মেয়র অপূর্ব মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী তথা কাউন্সিলর অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়ের মিষ্টি উৎসবের পরিকল্পনা করেন ২০১৩ সালে। তাঁর উদ্যোগে ‘গীতাঞ্জলী’ নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা মিষ্টি উৎসব শুরু করে। এ বার মেলার চতুর্থ বর্ষ। শহরের প্রসিদ্ধ মিষ্টির দোকানগুলি স্টল দিয়েছে। আবার বাইরে থেকেও অনেকে এসেছেন। জয়নগরের মোয়া, কৃষ্ণনগরের সরপুরিয়া, কাটোয়ার পান্তুয়া, নবদ্বীপের দই— মেলার মাঠে ঢুকে এক জায়গায় এত কিছু চেখে দেখার সুযোগ পেয়ে শহরের খাদ্যরসিকেরা বকবক খুশি। মিষ্টির প্যাকেট হাতে মেলা থেকে বেরোনোর পথে ষাটোর্ধ্ব মধুমিতা চক্রবর্তী বা স্কুল পড়ুয়া স্নেহাংশু দে, সকলেই বলে গেলেন সে কথা।
গাঁধী মোড়ে বড় মাঠ জুড়ে গড়া হয়েছে সারিবদ্ধ স্টল। সেখানে মিষ্টি সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত খোলা থাকছে স্টলগুলি। বিকেলের দিকে মিলছে গরম-গরম চপ, সিঙাড়া। আবার একাধিক স্বয়ম্ভর গোষ্ঠী নিজেদের তৈরি পসরা নিয়ে স্টল দিয়েছে মেলায়। স্টল দিয়েছে ‘দুর্গাপুর ব্লাইন্ড রিলিফ সোসাইটি’। শহরবাসীকে চক্ষুদানের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে সচেতন করছেন সংস্থার সদস্যেরা। রাতে থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। উদ্যোক্তাদের তরফে অনিন্দিতাদেবী বলেন, ‘‘শহরের মানুষ এ ভাবে সাড়া দেবেন কি না, প্রথম বছর তা নিয়ে একটু সংশয়ে ছিলাম। তবে এখন প্রতি বছরই মেলার আকর্ষণ বাড়ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy