Advertisement
০২ মে ২০২৪

মেয়ের সাক্ষ্য, স্ত্রী খুনে দোষী সাব্যস্ত স্বামী

সকালে ঘুম থেকে উঠে মাকে রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেছিল এগারো বছরের মেয়ে। অনেক ডেকেও সাড়া পায়নি। মনে পড়ে, আগের রাতেই মায়ের সঙ্গে বাবার বচসা হয়েছিল। মাকে মারধরও করছিল বাবা। আদালতে এ কথাই জানিয়েছিল মেয়েটি।

আসানসোল শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০১৬ ০৬:৩৫
Share: Save:

সকালে ঘুম থেকে উঠে মাকে রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেছিল এগারো বছরের মেয়ে। অনেক ডেকেও সাড়া পায়নি। মনে পড়ে, আগের রাতেই মায়ের সঙ্গে বাবার বচসা হয়েছিল। মাকে মারধরও করছিল বাবা। আদালতে এ কথাই জানিয়েছিল মেয়েটি। জামুড়িয়ার সেই ঘটনায় মেয়েটির বাবা মহম্মদ ইলিয়াসকে বুধবার বধূহত্যায় দোষী সাব্যস্ত করল আসানসোল আদালত।

২০১৫ সালের ১৩ অগস্ট খুন হন ইলিয়াসের স্ত্রী রেহেনা খাতুন। মামলা শুরুর আট মাসের মধ্যে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করে দোষী সাব্যস্ত করা হল অভিযুক্তকে। আজ, বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করবেন আসানসোল আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক (প্রথম) মুকুলকুমার কুণ্ডু।

আসানসোল আদালতের প্রধান সরকারি আইনজীবী স্বরাজ চট্টোপাধ্যায় এ দিন জানান, একটি পরিত্যক্ত খনি আবাসনে স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে থাকত ইলিয়াস। ঘটনার দিন সকাল থেকে জ্বর হয়েছিল মেয়ের। মেয়েকে ডাক্তার দেখানোর জন্য স্বামীর কাছে বারবার আর্জি জানিয়েও ফল হয়নি। বিকেলে মেয়েকে বেহুঁশ হয়ে পড়ে থাকতে দেখে কিছু দূরে বাপের বাড়িতে দৌড়ে যান রেহেনা। ভাইকে সঙ্গে নিয়ে মেয়েকে ডাক্তার দেখিয়ে রাতে বাড়ি ফেরেন। আর সে জন্যই রেহেনাকে বেধড়ক মারধর করে ইলিয়াস। মাঝ রাতে মায়ের চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায় মেয়েটির। কিন্তু শরীর খারাপ থাকায় আবার ঘুমিয়ে পড়ে। সকালে ঘুম ভেঙে মাকে ও ভাবে পড়ে থাকতে দেখে প্রতিবেশীদের জড়ো করে সে। দৌড়ে গিয়ে খবর দেয় মামারবাড়িতেও। তখন বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে ইলিয়াস।

জামুড়িয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন রেহেনার ভাই মুস্তাক আনসারি। পুলিশ ইলিয়াসকে গ্রেফতার করে। দম্পতির মেয়ে-সহ এই মামলায় মোট ১৮ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন বলে জানান স্বরাজবাবু।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Murder Police convicted arrested
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE