দরজার তালা ভেঙে ঘরের ভিতর থেকে এক মহিলার দেহ করল পুলিশ। শনিবার এ নিয়ে শোরগোল পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের কেন্দা ফাঁড়ির হিজলগড়া গ্রামে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, খুন করা হয়েছে। মৃতার স্বামী ও সন্তানের খোঁজে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বৈদ্যনাথ পাত্র নামে এক যুবক স্ত্রী ও এক বছরের সন্তানকে নিয়ে হিজলগড়া গ্রামে একটি ভাড়াবাড়িতে থাকতেন। শনিবার সকালে সন্তানকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান যুবক। দরজায় তালা লাগিয়ে দিয়ে যাওয়ায় সন্দেহ প্রতিবেশীদের। কারণ, কিছু ক্ষণ আগেও বৈদ্যনাথের স্ত্রী ওই ঘরে ছিলেন। সময় গড়ায়। সন্দেহ গাঢ় হয় প্রতিবেশীদের। তাঁরা পুলিশে খবর দেন। এর পর স্থানীয়দের উপস্থিতিতে তালা ভেঙে ঘরে ঢোকেন পুলিশকর্মীরা। দেখা যায়, ঘরের ভিতরে একটি খাটিয়ার তলায় কাপড় ঢাকা দেওয়া অবস্থায় এক যুবতী পড়ে আছেন। প্রতিবেশীরা জানান, উনিই বৈদ্যনাথের স্ত্রী। শুরু হয় বৈদ্যনাথের খোঁজ।
শনিবার মৃতদেহের ময়নাতদন্তের আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে তারা মনে করছে, খুন করা হয়েছে যুবতীকে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় তদন্তকারীরা। কারণ, রিপোর্টে স্পষ্ট হবে কী ভাবে মৃত্যু হয়েছে ওই মহিলার।
আরও পড়ুন:
স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, বৈদ্যনাথের বাড়ি পশ্চিম বর্ধমানের চুরুলিয়া ফাঁড়ি এলাকায়। জামুড়িয়ার একটি কারখানার শ্রমিক বৈদ্যনাথ থাকতেন ভাড়াবাড়িতে। স্ত্রী ও নাবালক সন্তানকে নিয়ে তাঁর পরিবার। দম্পতির মধ্যে গন্ডগোলের কোনও খবর নেই প্রতিবেশীদের কাছে। কিন্তু সকালে বৈদ্যনাথ তাঁর এক বছরের সন্তানকে নিয়ে ভাড়াবাড়ির দরজায় তালা লাগিয়ে কোথাও বেরিয়ে যান। প্রতিবেশীদের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘর থেকে স্ত্রীর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত খোঁজ নেই বৈদ্যনাথ ও তাঁর সন্তানের।