Advertisement
E-Paper

গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জখম প্রধান

জলের কল বসানো নিয়ে ফের প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের কোন্দল। সোমবার দুপুরে জামুড়িয়ার মদনতোড় পঞ্চায়েতের তালতোড় গ্রামে দু’পক্ষের হাতাহাতিতে আহত হন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান সাদ্দাম হোসেন-সহ দু’জন। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে। দু’পক্ষই পুলিশে অভিযোগ করেছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০১৫ ০১:০৯

জলের কল বসানো নিয়ে ফের প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের কোন্দল। সোমবার দুপুরে জামুড়িয়ার মদনতোড় পঞ্চায়েতের তালতোড় গ্রামে দু’পক্ষের হাতাহাতিতে আহত হন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান সাদ্দাম হোসেন-সহ দু’জন। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে। দু’পক্ষই পুলিশে অভিযোগ করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন সকালে জামুড়িয়ার বিডিও, জনস্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধি, মদনতোড়ের প্রধান-সহ একটি প্রতিনিধি দল তালতোড় গ্রামে নতুন বসানো কলগুলি দেখতে যান। তখন প্রধানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেন এক দল তৃণমূল সমর্থক। নেতৃত্বে ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা কাজল মাঝি। বিক্ষোভকারীরা দাবি করেন, ঠিক জায়গায় কল বসানো হয়নি। বিডিও বিক্ষোভকারীদের পঞ্চায়েত অফিসে যেতে বলেন। এর মধ্যে প্রধানের এক দল অনুগামী তালতোড়ে পৌঁছলে সংঘর্ষ শুরু হয়।

কাজলবাবুর দাবি, যেখানে প্রয়োজন নেই সেখানে ছ’টি কল বসানো হয়েছে। কিন্তু যেখানে প্রয়োজন রয়েছে সেখানে কোনও কল বসানো হয়নি। তাঁর অভিযোগ, ‘‘বিডিও আমাদের পঞ্চায়েত অফিসে যেতে বললেও প্রধান উত্তেজিত হয়ে দুষ্কৃতীদের ডেকে আনেন। বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা অলোক দাস-সহ কয়েক জনের নেতৃত্বে দুষ্কৃতীরা বাড়ি বাড়ি ঢুকে মারধর করে। হামলার সময় প্রধানও ছিলেন।’’ প্রধান সাদ্দাম হোসেন জানান, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর কয়েকটি গ্রামে পরিস্রুত জল দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। সেই কাজ দেখতে গিয়েই বিক্ষোভের মুখে পড়েন। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, ‘‘আমরা গ্রামে পৌঁছনোর পরেই কাজল মাঝি গালাগাল শুরু করে। আমাকে মারধরও করে। বাড়ি যাওয়ার জন্য গাড়ির চালককে ডেকে পাঠাই। গাড়ি গ্রামে এলে সেটি ভাঙচুর করা হয়।’’ তাঁর এক আত্মীয়কেও মারধর করা হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ।

২০১৩ সালে তালতোড় পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। তৃণমূল ও স্থানীয় সূত্রের খবর, প্রথমে কাজল মাঝির অনুগামী অনুপ মণ্ডলকে প্রধান করা হয়। পরে সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বে দলের অন্য গোষ্ঠী অনাস্থা আনে। নতুন প্রধান হন সাদ্দাম। তার পর থেকেই দু’পক্ষের মধ্যে চাপানউতোর রয়েছে। তাঁর নামে অভিযোগ উঠেছে শুনে অলোক দাসের প্রতিক্রিয়া, ‘‘দল থেকে আমি বহিষ্কৃত। অথচ, কেন আমাকে জোর করে মিথ্যে অভিযোগে জড়ানো হচ্ছে বুঝছি না!’’ তৃণমূলের জেলা (শিল্পাঞ্চল) কার্যকরী সভাপতি ভি শিবদাসন বলেন, ‘‘বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। নিরপেক্ষ তদন্তে যে দোষী প্রমাণিত হবে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছি।’’ বিডিও বুদ্ধদেব পান কোনও মন্তব্য করতে চাননি। পুলিশ জানায়, তদন্ত শুরু হয়েছে। রাত পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।

jamuria trinamool clash police BDO tmc village
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy