Advertisement
E-Paper

তদন্ত জোড়া অভিযোগে

বর্ধমান ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ জীবন মিশ্র বলেন, “কলেজের শিক্ষিকা অনুরাধা মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। তবে অভিযুক্ত চিকিৎসক হাসপাতালে অনুপস্থিত রয়েছেন বলে তদন্ত রিপোর্ট  জমা পড়েনি।’’In

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০১৮ ০৩:৪৬
ডেন্টাল কলেজে প্রতিনিধি দলের সদস্যেরা। —নিজস্ব চিত্র।

ডেন্টাল কলেজে প্রতিনিধি দলের সদস্যেরা। —নিজস্ব চিত্র।

মাস খানেক আগে বর্ধমান ডেন্টাল কলেজে হাসপাতালের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ‘অশালীন মন্তব্য’ করার অভিযোগ তুলে অধ্যক্ষের কাছে চিঠি দিয়েছিলেন এক নার্স। তার ভিত্তিতে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। অন্য দিকে, অভিযোগকারী নার্সের বিরুদ্ধেও হাসপাতাল থেকে রোগীকে অন্যত্র ‘রেফার’ করার অভিযোগ করা হয়েছে স্বাস্থ্য ভবনের স্বাস্থ্য অধিকর্তা (প্রশাসন) অজয় চক্রবর্তীর কাছে। ওই ডাক্তার ও নার্স অবশ্য অভিযোগ মানেননি।

বর্ধমান ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ জীবন মিশ্র বলেন, “কলেজের শিক্ষিকা অনুরাধা মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। তবে অভিযুক্ত চিকিৎসক হাসপাতালে অনুপস্থিত রয়েছেন বলে তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়েনি।’’ তবে স্বাস্থ্য ভবনে জমা পড়া অভিযোগ নিয়ে কিছু জানেন না বলেও তাঁ দাবি। তিনি বলেন, ‘‘একতলায় চিকিৎসা হয়। দোতলায় আমি বসি। রোগীরা আমার কাছে অভিযোগ না জানিয়ে সটান চলে গেল স্বাস্থ্য ভবনে! ওই সব রোগীর খোঁজ আমাদের নথিতে পাওয়া যায়নি।’’

গত ২১ জুন অধ্যক্ষের কাছে করা অভিযোগে ওই নার্স দাবি করেন, ওই চিকিৎসক কাজে যোগ দেওয়ার পর থেকেই তাঁকে নানা অশালীন মন্তব্য করেন। সহকর্মীদের কাছেও তাঁর নামে খারাপ কথা বলা হয়। অধ্যক্ষের কাছে তাঁকে অন্য বিভাগে স্থানান্তর করারও দাবি জানিয়েছেন ওই নার্স। জানা গিয়েছে, ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অধ্যক্ষের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে শাসক দলের ঘনিষ্ঠ রাজ্য সরকারি কর্মচারি ফেডারেশনের বর্ধমান ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল ইউনিট। সংগঠনের অভিযোগ, অভিযোগ প্রত্যাহার করার জন্য নার্সকে নানা ভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছে।

আবার স্বাস্থ্য ভবনে যে রোগীরা অভিযোগ করেছেন তাঁদের দাবি, ওই নার্স তাঁকে হাসপাতালে চিকিৎসার বদলে কলকাতার নিউ আলিপুরের একটি নার্সিংহোমে অস্ত্রোপচার করাতে বলেছিলেন। যদিও ওই নার্সের দাবি, ‘‘চিকিৎসকের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ তোলার জন্য পাল্টা মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে আমার নামে।’’

অভিযুক্ত চিকিৎসক জানান, তিনি অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন। অভিযোগের সত্য-মিথ্যা কিছুই জানেন না। এ রকম কোনও তদন্ত কমিটি গড়া হয়েছে বলেও তাঁর কাছে কোনও তথ্য বা নথি আসেনি। তাঁর কথায়, “কোনও ভদ্রলোক কী এমন কাজ করতে পারে?” হাসপাতালে দালাল চক্র গরিব রোগীদের নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়ার জন্য সক্রিয়। তার প্রতিবাদ করায় তাঁর বিরুদ্ধে তাদের আক্রোশ হয়ে থাকতে পারে বলেও তাঁর দাবি।

Burdwan Dental College Investigation Allegation against doctor
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy