এই গাড়িতে করেই মদ পাচার করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ । নিজস্ব চিত্র
সরকার অনুমোদিত মদের দোকান বন্ধ। অভিযোগ, এই সুযোগে পূর্ব বর্ধমানের কালনা ও তার আশপাশের এলাকায় শুরু হয়েছে চড়া দামে মদের বেআইনি কারবার। মঙ্গলবার রাতে কালনা শহরের ডাঙাপাড়া এলাকার এক হোটেল ব্যবসায়ীর বাড়ির কাছ থেকে এক গাড়ি ভর্তি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদও উদ্ধার করে কালনা থানার পুলিশ। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই ব্যবসায়ী বাড়ি থেকে নিজের গাড়িতেই অন্যত্র সরাচ্ছিলেন মদের বোতল।
ফোনে বরাত নিয়ে রাতবিরেতে মোটরবাইকে মদ পৌঁছে দেওয়া কালনায় নতুন নয়। বরাবরই এক শ্রেণির লোকজন এ কাজ করেন। পুলিশ ধরপাকড়ও করেছে বহু বার। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ‘লকডাউন’-এর জেরে পুলিশের নজরদারি আঁটোসাঁটো। ফলে মোটরবাইকে মদ পৌঁছনোর ঝুঁকি নিচ্ছেন না অনেকেই। কিন্তু বেশি লাভের আশায় খরিদ্দার ফেরাতেও পারছেন না বহু ব্যবসায়ী। ফলে নির্দিষ্ট জায়গায় চেনা খরিদ্দারদের ডেকে তাঁদের হাতে মদের বোতল তুলে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। পাঁচশো টাকার মদ প্রায় দেড় হাজার টাকায় আবার ৯৫ টাকার দেশি মদ আড়াইশো টাকারও বেশি দামে বিকোচ্ছে, দাবি তাঁদের।
ডাঙাপাড়ার একাংশ বাসিন্দা জানান, এলাকার একটি পরিবার বহু বছর ধরে এসটিকেকে রোডের ধারে হোটেল চালায়। ‘লকডাউন’-এর পর হোটেল বন্ধ করে দিলেও বাড়ি থেকেই বেআইনি মদের কারবার চালানো হচ্ছিল বলে অভিযোগ। তাঁদের দাবি, এখান থেকে মদ নিয়ে গিয়ে নানা জায়গায় বিক্রি করছিলেন একাংশ ব্যবসায়ী। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁরা কালনা থানার নজরে আনেন বিষয়টি। গাড়িতে মদ পাচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগও করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দারাই গাড়ি আটকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
পুলিশের দাবি, মদ না পাওয়ায় চোলাইয়ের চাহিদা বাড়ছে। মঙ্গলবার রাতে মন্তেশ্বরের রাউতগ্রাম এলাকায় বেআইনি চোলাই বিক্রির অভিযোগে স্বপন রায় এবং সারদা রায় নামে দু’জনকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। উদ্ধার হয় ২০ লিটার চোলাই এবং নানা চোলাই তৈরির সরঞ্জাম। নাদনঘাট থানার পুলিশও একই অভিযোগে গ্রেফতার করে তারক হালদার নামে এক যুবককে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) ধ্রুব দাস বলেন, ‘‘চোলাই কারবারিদের বিরুদ্ধে সারা বছরই অভিযান চলে। কালনার ডাঙাপাড়ার ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy