Advertisement
০৬ মে ২০২৪

কদর বেড়েছে ছাঁচের লক্ষ্মী প্রতিমার, ফাঁকা কুমোরপাড়া

লক্ষ্মীপুজোর বাজার প্রায় শেষের পথে। প্রতিমা, প্রসাদ, দশকর্মার জিনিসপত্র কেনাকাটার জন্য ক্রেতার ভিড়ে বাজার সরগরম। কিন্তু ফাঁকা পড়ে শহরের বিভিন্ন কুমোর পাড়ায় প্রতিমা তৈরির কারখানাগুলি।

চলছে মূর্তি বিকিকিনি। নিজস্ব চিত্র।

চলছে মূর্তি বিকিকিনি। নিজস্ব চিত্র।

বিপ্লব ভট্টাচার্য
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০১৬ ০২:৪০
Share: Save:

লক্ষ্মীপুজোর বাজার প্রায় শেষের পথে। প্রতিমা, প্রসাদ, দশকর্মার জিনিসপত্র কেনাকাটার জন্য ক্রেতার ভিড়ে বাজার সরগরম। কিন্তু ফাঁকা পড়ে শহরের বিভিন্ন কুমোর পাড়ায় প্রতিমা তৈরির কারখানাগুলি। ছাঁচের প্রতিমার চাহিদা বাড়ায় এ বার বাজার পড়েছে কাঠামোর প্রতিমার।

অন্যান্য বারের তুলনায় এ বার পুজোর প্রয়োজনীয় সব কিছুরই বাজার চড়া। পুজোর আয়োজন করতে নাভিশ্বাস উঠছে মধ্যবিত্তের। তাই বাধ্য হয়ে ফর্দে ছাঁটাই করতে হচ্ছে। ক্রেতারা জানান, ছাঁচের প্রতিমার দামও এ বার কিছুটা বেড়়েছে। তবু কাঠামোর প্রতিমার থেকে তা অনেকটাই কম দামে পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিমা বিক্রেতারা জানান, যেখানে কাঠামোর প্রতিমার দাম পড়ে ৩০০-১৪০০ টাকা, সেখানে ১৫০ টাকার মধ্যেই ছাঁচের প্রতিমা পাওয়া যায়। তাই বেশির ভাগ ক্রেতাই সেই দিকে ঝুঁকেছেন।

বহু ব্যবসায়ী বর্ধমান, নবদ্বীপ থেকে ছাঁচের প্রতিমা এনে বিক্রি করছেন শহরের বিভিন্ন এলাকায়। দুর্গাপুরের স্টেশন বাজার, বাসস্ট্যান্ড, সিটি সেন্টার, বেনাচিতি বাজার, চণ্ডীদাস বাজার, মামরাবাজারের মতো এলাকায় সার দিয়ে বিক্রি হচ্ছে ছাঁচের প্রতিমা। বিক্রেতারা জানান, খুব বেশি না হলেও এ বছর ছাঁচের প্রতিমার দাম কিছুটা বেড়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত বিক্রি কিছুটা কম হয়েছে। দুর্গাপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পসরা সাজিয়ে বসেছেন হারাধন দত্ত। তিনি জানান, এ বার তিনি ১১০টি ছাঁচের প্রতিমা নিয়ে এসেছেন। এখনও বেশির ভাগ প্রতিমাই বিক্রি হয়নি। তবে তাঁর আশা, শেষ দিনে সব প্রতিমা বিক্রি হয়ে যাবে। আবার ট্রাঙ্ক রোডের এক ব্যবসায়ী সঞ্জয় চৌধুরী জানান, দাম বেশি হওয়ায় কম সংখ্যক প্রতিমা নিয়ে এসেছেন এ বার। তবে এক দিন বাকি থাকতেই বেশির ভাগ প্রতিমা বিক্রি হয়ে গিয়েছে বলে জানান তিনি।

উল্টো ছবি দুর্গাপুরের বিভিন্ন কাঠামোর প্রতিমা তৈরির কারখানাগুলিতে। দুর্গাপুরের গ্যারাজ মোড়ের মৃৎশিল্পী ভুবন দে জানান, গত বছর ৩৩টি প্রতিমা তৈরির অগ্রিম পেয়েছিলেন। বিক্রি করেছিলেন ৫৫টি প্রতিমা। এ বার তা কমে দাঁড়িয়েছে ১৫টি। শুক্রবার পর্যন্ত ২০টি প্রতিমা বিক্রি করেছেন। তিনি জানান, বেশি প্রতিমা তৈরি করলে শেষের দিকে বাধ্য হয়ে খুব কম দামে সেগুলি বিক্রি করতে হয়। এ বার তাই ক্ষতির ভয়ে আগের বারের তুলনায় প্রায় অর্ধেক প্রতিমা তৈরি করেছেন। তবে সেগুলিও সময়ে বিক্রি হবে কি না, তা নিয়ে চিন্তায় ভুবনবাবু।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Laxmi Puja
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE