Advertisement
১৮ মে ২০২৪

বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবসেই মনোনয়ন 

দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আবাসনের নীচে দলীয় পতাকা উত্তোলনও করেন বাবুল। এর পরে দুপুরে সোজা জিপ চালিয়ে বাবুল চলে আসেন রবীন্দ্র ভবন চত্বরে। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী রচনা শর্মা, বাবা সুনীলচন্দ্র বড়াল এবং মা সুমিত্রা বড়াল।

মনোনয়ন মিছিলে বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়। নিজস্ব চিত্র

মনোনয়ন মিছিলে বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
আসানসোল শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০১৯ ০৪:৫৫
Share: Save:

দলের প্রতিষ্ঠা দিবস, ৬ এপ্রিল। তাঁর দাবি, তাঁর পক্ষে শুভ সংখ্যাও ছয়। আর তাই মনোনয়ন জমা দিতে শনিবার, ওই তারিখটিকেই বেছে নিয়েছেন। এমনটাই জানালেন আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। সেই সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল ও সিপিএমের বিরুদ্ধে তোপও দাগলেন।

এ দিন সকাল থেকেই মহিশীলায় বাবুলের আবাসনের সামনে ভিড় জমাতে শুরু করেন দলের কর্মী, সমর্থকেরা। দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আবাসনের নীচে দলীয় পতাকা উত্তোলনও করেন বাবুল। এর পরে দুপুরে সোজা জিপ চালিয়ে বাবুল চলে আসেন রবীন্দ্র ভবন চত্বরে। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী রচনা শর্মা, বাবা সুনীলচন্দ্র বড়াল এবং মা সুমিত্রা বড়াল।

রবীন্দ্র ভবনে বাবুল পৌঁছতেই চনমনে দেখায় দলের কর্মী, সমর্থকদের। স্লোগান, ফুল-বৃষ্টি আর ঢাকের বোলে শুরু হয় মিছিল। প্রায় দু’ঘণ্টা মিছিলের পরে জেলাশাসক (পশ্চিম বর্ধমান) শশাঙ্ক শেঠির কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন বাবুল। সেখান থেকে বেরিয়েই এই দিনটিকে মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন হিসেবে বেছে নেওয়ার কারণটি জানান বাবুল। তাঁর কথায়, ‘‘ঠিক ছিল, ৩ এপ্রিল মনোনয়ন জমা দেব। কিন্তু ওই দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভা ছিল। আমার শুভ সংখ্যা ছয়। আজ দলের প্রতিষ্ঠা দিবসও। তা ছাড়া শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে নবরাত্রিও।’’

তবে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বাবুল তাঁর সম্পত্তির হিসেবনিকেশ সং‌ক্রান্ত নথি জমা দেননি। তবে নিয়ম অনুযায়ী, মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ৯ এপ্রিলের মধ্যে তিনি তা জমা দিতে পারবেন। বিজেপি নেতৃত্ব জানান, ওই সময়সীমার মধ্যেই প্রার্থী তা জমা করবেন।

এ দিন মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরেই বাবুল প্রতিদ্বন্দ্বী দলের বিরুদ্ধে সরব হন। ঘটনাচক্রে, বাবুলের উপস্থিতিতেই জামুড়িয়ার বোগড়ায় দলের কর্মিসভায় ওই এলাকার নেতাদের একটা বড় অংশের অনুপস্থিতি দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই, খবর দলীয় সূত্রেই। ওই ধরনের ঘটনা ভোটে কী প্রভাব ফেলতে পারে জিজ্ঞাসা করা হলে বাবুল বলেন, ‘‘এটা কোনও বড় বিষয়ই নয়। তৃণমূল ভয় দেখিয়ে অনেককেই সভায় আসতে দিচ্ছে না। তবে সবাই দলে আছেন।’’ যদিও ভয় দেখানোর হুমকির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি ভি শিবদাসন। তাঁর কথায়, ‘‘বিজেপি প্রার্থী জিততে পারবেন না বুঝে মিথ্যা অভিযোগ করছেন।’’

এ দিনই ফের এলাকায় বার্ন স্ট্যান্ডার্ড, হিন্দুস্তান কেব্‌লস বন্ধ এবং ১৬টি খনি বন্ধের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বিষয়টি সামনে এনে বাবুলকে বিঁধেছে সিপিএম। সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য বংশগোপাল চৌধুরীর বক্তব্য, ‘‘উনি কারখানা খোলার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে মিষ্টি বিলি করেছিলেন। আসানসোলের মানু‌ষ বোঝেন বিদায়ী সাংসদ এবং এনডিএ সরকার শিল্প বিরোধী।’’ বাবুলের যদিও এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া, ‘‘বামেদের আমলেই রাজ্যের একাধিক শিল্প মুখ থুবড়ে পড়েছে। এনডিএ সরকার শিল্প ক্ষেত্রে বহু উন্নয়নমূলক কাজ করেছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE