Advertisement
২২ মে ২০২৪

অনেক বুথে কেন শুধু পুলিশ, ক্ষুব্ধ সিপিএম 

মহকুমাশাসক জানান, একই চত্বরে চার বা তার থেকে কম সংখ্যক বুথ থাকলে সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং পাঁচ বা তার বেশি বুথ থাকলে রাজ্য পুলিশ পাহারার দায়িত্বে থাকছে।

দুর্গাপুরের এমএএমসি কলোনি এলাকায় ‘মডেল বুথ’। নিজস্ব চিত্র

দুর্গাপুরের এমএএমসি কলোনি এলাকায় ‘মডেল বুথ’। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০১৯ ০১:১৪
Share: Save:

বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের অন্তর্গত দুর্গাপুরের দু’টি বিধানসভা এলাকার ৯০ শতাংশ বুথে থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, একই চত্বরে পাঁচ বা তার বেশি সংখ্যক বুথ থাকলে সেখানে পাহারায় থাকছে রাজ্য পুলিশ। নিরাপত্তার এই বন্দোবস্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সিপিএম। যদিও প্রশাসনের দাবি, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই।

দুর্গাপুর গভর্নমেন্ট কলেজের ‘ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টার’ থেকে রবিবার সকালে ভোটকর্মীরা ইভিএম, ভিভিপ্যাট-সহ নানা সামগ্রী নিয়ে রওনা দেন ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে। দুর্গাপুর পূর্ব ও পশ্চিম, পাণ্ডবেশ্বর ও রানিগঞ্জ বিধানসভা এলাকার কাজকর্ম পরিচালিত হচ্ছে এখান থেকে। দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক তথা মহকুমা রিটার্নিং অফিসার অনির্বাণ কোলে জানান, চারটি বিধানসভা মিলিয়ে মোট ১০৯৭টি পোলিং স্টেশন রয়েছে। ভোটকর্মী প্রায় সাড়ে ৫ হাজার। এ ছাড়া প্রায় এক হাজার ভোটকর্মী ‘রিজার্ভ’ হিসেবে থাকছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকে থাকছেন ‘ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টারে’। দুর্গাপুর শহরে কোথাও প্রয়োজন পড়লে তাঁরা যাবেন। বাকিদের বিভিন্ন ব্লক অফিসে পাঠানো হয়েছে। গরমের কথা মাথায় রেখে ত্রিপল, পর্যাপ্ত পানীয় জল, পরিচ্ছন্ন শৌচাগার, প্রতিবন্ধীদের জন্য হুইলচেয়ারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কিছু মোবাইল ভ্যানও রাখা থাকবে।

মহকুমাশাসক জানান, একই চত্বরে চার বা তার থেকে কম সংখ্যক বুথ থাকলে সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং পাঁচ বা তার বেশি বুথ থাকলে রাজ্য পুলিশ পাহারার দায়িত্বে থাকছে। মহকুমাশাসক বলেন, ‘‘আগের মতো স্পর্শকাতর বুথ বলে তেমন কিছু এখন আর সে ভাবে নেই। কারণ, সব বুথেই হয় মাইক্রো অবজ়ারভার, ভিডিয়োগ্রাফি, সিসি ক্যামেরা বা ওয়েবকাস্টিংয়ের মতো কিছু না কিছু ব্যবস্থা থাকছে।’’ তিনি আরও জানান, পুরো প্রক্রিয়া ‘কন্ট্রোল রুম’ থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। সব জায়গায় ‘মোবাইল ট্র্যাকিং’-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেক্টর অফিসারেরা প্রায় ‘এসকর্ট’ করে ভোটকর্মীদের নিয়ে যাচ্ছেন। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে পৌঁছে তাঁরা রিপোর্ট দিচ্ছেন। সেক্টর অফিসারেরাও ‘জিপিএস ট্র্যাকিং’-এর মধ্যে রয়েছেন। ফলে, নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোনও দুশ্চিন্তা নেই বলে দাবি মহকুমাশাসকের।

যদিও সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায়সরকার জানান, দুর্গাপুর পূর্ব ও পশ্চিম বিধানসভা এলাকা এবং আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত জেমুয়া পঞ্চায়েতে একই চত্বরে পাঁচ বা তার বেশি সংখ্যক বুথ রয়েছে মোট ১২২টি। সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে না। আবার, এই নিয়ম না মেনে দুর্গাপুর পূর্ব ও পশ্চিমের আরও ২৩টি কেন্দ্রে শুধু রাজ্য পুলিশ থাকছে বলে তাঁর অভিযোগ। তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘তৃণমূল ও বিজেপিকে সুবিধা করে দিতেই এমন সিদ্ধান্ত।’’ তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, ‘‘হার নিশ্চিত জেনে আগে থেকে সাফাই গেয়ে রাখছে সিপিএম।’’ বিজেপি নেতা অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘কোথায় কেন্দ্রীয় বাহিনী আছে আর কোথায় নেই, তা নিয়ে আর ভাবার সময় নেই। সংগঠনই আমাদের মূল শক্তি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Lok Sabha Election 2019 Election 2019 Phase 4 CPM
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE