এক ব্যক্তিকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল স্ত্রী ও তাঁর মেয়ের বিরুদ্ধে। প্রতীকী ছবি।
এক ব্যক্তিকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল স্ত্রী ও তাঁর মেয়ের বিরুদ্ধে। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া থানার দাঁইহাট পুরসভার লেক গার্ডেন এলাকার ঘটনা। মঙ্গলবার সকাল ১০টা নাগাদ সুনীল রায় (৫০)-এর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের স্ত্রী রমা রায় ও মেয়ে মাম্পি রায়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে দেহ। জামাই ও ছেলের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।
নিহত সুনীল পেশায় কৃষিশ্রমিক। মাঝে কিছু দিন দক্ষিণ ভারতে নির্মাণ শ্রমিক হিসাবে কাজ করতে গিয়েছিলেন। স্থানীয়দের দাবি, তিনি বাড়িতে থাকলে অশান্তি লেগেই থাকত। মঙ্গলবার সকালে স্থানীয়েরা থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে সুনীলের বাড়িতে পৌঁছয় পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে নিহতের বাড়িতে তালা দিয়েছে পুলিশ।
মৃতের বোন বুলু কীর্তনীয়ার অভিযোগ, বাড়িতে বাইরের লোক নিয়ে আসাকে কেন্দ্র করে স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে প্রায়ই গন্ডগোল হত সুনীলের। বুলুর কথায়, ‘‘বৌদি, ভাইজি, ভাইপো মিলে দাদাকে মারধর করতেন। দাদাকে খুন করেছেন ওঁরা। দাদাকে খেতে দিতেন না। বাড়ি থেকে বার করে দিত।’’ তিনি আরও দাবি করেন, ‘‘সোমবার সকালে দাদা আমাকে খুন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কার কথা বলেছিলেন।’’
প্রতিবেশী প্রত্যক্ষদর্শী পরিতোষ বিশ্বাস বলেন, ‘‘সুনীল রায়ের সঙ্গে বাড়িতে প্রায়ই অশান্তি লেগে থাকত। গত রাতেও গণ্ডগোল শুনেছিলাম। সুনীল রায় খুন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করতেন।’’ নিহতের বোন বুলুর দাবি, সুনীলকে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করা হয়েছে। কাটোয়া থানার পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy