দীর্ঘদিন ধরে বেহাল শহরের এক গুরুত্বূপূর্ণ রাস্তা। দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্ট (ডিএসপি) কর্তৃপক্ষ তা সারাচ্ছেন না, আবার চার মাস আগে রাস্তা সারাইয়ের জন্য অনুমতি চেয়ে চিঠি দিয়েও ডিএসপি-র জবাব মেলেনি— অভিযোগ পুরসভা কর্তৃপক্ষের। ফলে, ট্রাঙ্ক রোড ও লাগোয়া রাস্তা সংস্কার করা যাচ্ছে না বলে দাবি পুরসভার। ডিএসপি এবং পুরসভার টানাপড়েনে ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা।
বেনাচিতির স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে শুরু করে এসবিএসটিসি গ্যারাজের পাশ দিয়ে গিয়ে আর্টারিয়াল রোডে মিশেছে এই ট্রাঙ্ক রোড। রাস্তাটির প্রায় পুরো অংশ এবং আর্টারিয়াল রোডের কিছুটা দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে একেবারে বেহাল বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। শহরের একটি বড় অংশের মানুষ হাসপাতাল, স্কুল, বিভিন্ন সরকারি অফিস, বাজার করতে বিধাননগর বা সিটিসেন্টার যাওয়ার জন্য এই রাস্তা ব্যবহার করেন। দুরপাল্লার বাসগুলিও এই রাস্তা ধরেই প্রান্তিকা বাসস্ট্যান্ডে যায়। এই রাস্তা ধরেই গ্যারাজে ফেরে এসবিএসটিসি-র বাসগুলি।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, ডিএসপি কর্তৃপক্ষ টাউনশিপের বহু রাস্তাই সংস্কার করেছে ২০১৬ সালে। কিন্তু এই রাস্তাটি বাদ রেখে দিয়েছে। ফলে, বছরখানেক ধরে রাস্তাটি বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে। মাঝে-মাঝেই ছোটখাট দুর্ঘটনা ঘটছে। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই ওই রাস্তা এড়িয়ে ঘুরপথে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন। বাচ্চাকে স্কুটিতে করে প্রতিদিন টাউনশিপের একটি স্কুলে পৌঁছে দেন ৫৪ ফুট এলাকার বাসিন্দা শ্রেয়া পাল। তিনি বলেন, ‘‘ওই রাস্তার এক কিলোমিটার মতো অংশ ব্যবহার করতে হয় আমাকে। তাতেই বুক কাঁপে। বিশেষ করে গ্যারাজ পার হওয়ার পরে এবং ট্রাঙ্ক রোডের মোড়ের অংশটুকু গর্তে ভরা। যে কোনও সময়ে বিপদ ঘটতে পারে।’’
পুরসভার ১ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান মৃগেন পাল দাবি করেন, প্রথমে তিনি নিজে ডিএসপি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। সাড়া না পেয়ে শেষে পুরসভার তরফে অন্তত রাস্তাটি তাপ্পি দেওয়ার অনুমতি চেয়ে ডিএসপি-কে চিঠি পাঠান। মৃগেনবাবু বলেন, ‘‘আমি নভেম্বরের শেষে ডিএসপি কর্তৃপক্ষকে রাস্তাটি আপাতত চলার উপযোগী করে তোলার অনুমতি চেয়ে চিঠি দিই। বাজেটও ঠিক হয়ে আছে। কিন্তু ডিএসপি কোনও জবাব না দেওয়ায় কাজ শুরু করা যায়নি।’’ ডিএসপি-র মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক চিন্ময় সমাজদারের অবশ্য বক্তব্য, ‘‘রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার কাজের কিছু নির্দিষ্ট পদ্ধতি আছে। কেউ আবেদন করলেই অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। যেখানে সংস্থার কর্মীদের স্বার্থ জড়িত, সেই কাজ অগ্রাধিকারের সঙ্গেই করা হয়।’’