সর্বমঙ্গলা মন্দিরে পুজো দিতে ভিড়। —নিজস্ব চিত্র।
বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা মন্দিরে রবিবার পালিত হল নবান্ন উৎসব। এর মধ্যে দিয়ে গোটা রাঢ়বঙ্গে এই উৎসবের সূচনা হয় বলেই মত অনেকের। বর্ধমানে রাজ আমল থেকেই এই উৎসব চলে আসছে। রবিবার তাতে মেতে উঠলেন শহরবাসী।
কথিত আছে, রাজা তেজচাঁদের আমল থেকেই চলে আসছে এই প্রথা। বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা মন্দির দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম তীর্থস্থান। কথিত আছে, যখন মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়নি, দেবীমাহাত্ম্য প্রচারিত হয়নি, তখন স্থানীয় জেলেরা মাছ ধরে ফেরার পথে এই মূর্তির উপরে গুগলি-শামুক ভাঙতেন। মূর্তি নিয়ে তাঁদের মনে কোনও প্রশ্ন জাগেনি। বিষয়টি রাজা তেজচাঁদের কানে যায়। তিনি এই মূর্তিটি উদ্ধার করেন। এর পর মন্দির তৈরি করে সেখানে মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন। সেই থেকেই সর্বমঙ্গলার মাহাত্ম্য প্রচারিত হয়। স্বয়ং রামকৃষ্ণও এই মন্দিরে এসেছেন বলে কথিত আছে। সেই মন্দিরেই রবিবার পূজা অর্চনা করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বাইরে থেকেও অনেকে যোগ দেন পুজোয়। নতুন চাল এবং গুড় দিয়ে পায়েস ভোগ দেওয়া হয় দেবী সর্বমঙ্গলাকে।
সর্বমঙ্গলা মন্দিরের ট্রাস্টের সম্পাদক সঞ্জয় ঘোষ বলেন, ‘‘মন্দিরে এই উৎসব পালনের মধ্যে দিয়ে গোটা রাঢ়বঙ্গে নবান্নের সূচনা হল। অতিমারির কথা মাথায় রেখে কোভিড বিধি মেনে ভোগ বিলি করা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy