Advertisement
E-Paper

খোলামুখ খনির কাজ বন্ধ রেখে আবেদন পুনর্বাসনের

বিক্ষোভকারীরা জানান, গ্রাম লাগোয়া খোলামুখ খনি সম্প্রসারণ করা হয়েছে। ফলে, বাড়ি থেকে মাত্র একশো মিটার দূরত্বে চলে এসেছে খনি। এর ফলে, এলাকায় ভূগর্ভস্থ জলস্তর নেমে গিয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৩ ০৯:০০
‘দিশম আদিবাসী গাঁওতা’র নেতৃত্বে মিছিল।  নিজস্ব চিত্র

‘দিশম আদিবাসী গাঁওতা’র নেতৃত্বে মিছিল। নিজস্ব চিত্র

পুনর্বাসন চেয়ে সোমবার দিনভর ইসিএলের বাঁকোলা এরিয়ার নাকরাকোন্দা কুমারডিহি বি খোলামুখ খনির কাজ বন্ধ রেখে বিক্ষোভ দেখাল ‘দিশম আদিবাসী গাঁওতা’ নামে একটি সংগঠন। যোগ দেন প্রায় একশোটি আদিবাসী পরিবারের সদস্যেরা।

এ দিন সকাল ৯টা নাগাদ বিক্ষোভ শুরু হয়। সংগঠন সূত্রে দাবি, জোয়ালভাঙা গ্রামের সীমানায় সরকারের জমিতে ৮৫টি আদিবাসী পরিবার প্রায় একশো বছরেরও বেশি সময় ধরে বসবাস করছে। ১৯৮৬ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত রাজ্য সরকার ৪০টি পরিবারকে তাদের পুরনো বসতবাড়ির জায়গাতেই পাট্টা দিয়েছে। বাকি পরিবারগুলির সদস্যেরা পাট্টার জন্য আবেদন জানিয়েছেন।

তা হলে ফের পুনর্বাসনের দাবি কেন? বিক্ষোভকারীরা জানান, গ্রাম লাগোয়া খোলামুখ খনি সম্প্রসারণ করা হয়েছে। ফলে, বাড়ি থেকে মাত্র একশো মিটার দূরত্বে চলে এসেছে খনি। এর ফলে, এলাকায় ভূগর্ভস্থ জলস্তর নেমে গিয়েছে। তীব্র জল সঙ্কট তৈরি হয়েছে এলাকায়। কুয়োতেও জল অমিল। ইসিএল ট্যাঙ্কারে করে জল পাঠালেও তা পর্যাপ্ত নয়। পাশাপাশি, এলাকার বেশির ভাগ বাড়ির দেওয়াল মাটির। খনিতে বিস্ফোরণ ঘটলে বাড়ি ও আসবাবপত্র কেঁপে ওঠে। কিছু বাড়িতে ফাটলও ধরেছে। সংগঠনের নেতা জলধর হেমব্রমের অভিযোগ, “ইসিএলের কাছে আমরা একাধিক বার পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছি। প্রতিশ্রুতি মিলেছে। কিন্তু কেউ পুনর্বাসন পাননি। সম্প্রতি ইসিএল দাবি করছে, তাদের জায়গা দখল করে আমরা বাস করছি। অথচ, জেলায় আদিবাসী পরিবারগুলির বেশির ভাগই সরকারি জমিতে বাস করে।” তাঁর সংযোজন: এই খোলামুখ খনি লাগোয়া ইসিএলেরই শোনপুর বাজারি প্রকল্প সম্প্রসারণের ফলে, প্রায় আটটি আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামের জমি অধিগ্রহণ করে কাজ চলছে। ওই সব গ্রামের বাসিন্দারা বেশির ভাগই ইসিএলের জমিতে থাকতেন। কিন্তু কোনও শর্ত ছাড়া তাঁদের অন্যত্র বাড়ি তৈরি করে সংস্থার উদ্যোগে পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছে। তাই এখানেও পুনর্বাসন দিতে হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিকের বক্তব্য, “গ্রামবাসীর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।” এ দিকে, রাত ৮টা পর্যন্ত খনি কর্তৃপক্ষ এবং গ্রামবাসীর মধ্যে আলোচনা চলছে বলে জানা গিয়েছে। তবে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়নি।

Pandabeshwar Adivasis
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy