হাসপাতালে মৃত শিশুর পরিবারের সদস্যরা পোস্টার হাতে বিক্ষোভে। —নিজস্ব চিত্র।
কানের অস্ত্রোপচারের জন্য মেয়েকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন বাবা-মা। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে। ওই সরকারি হাসপাতালের দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করল মৃতের পরিবার। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতার নাম তিথি দাস ( ৮)। পূর্ব বর্ধমানের তালিত গ্রামের বাসিন্দা তিথি চার বছর বয়স থেকেই কানের সমস্যায় ভুগছিল। তাকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের বহির্বিভাগে দেখানো হচ্ছিল। গত ২২ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাকে। ২৬ সেপ্টেম্বর তার কানে অস্ত্রোপচার হয়। পরিবারের অভিযোগ, অস্ত্রোপচারের পর থেকে আর ছোট্ট মেয়েটির সঙ্গে তাদের কাউকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। দীর্ঘ সময়ের পর ‘ওটি’ থেকে বার করে আইসিইউতে রাখা হয় রোগীকে। এর পর বুধবার রাত ২টোর সময় তিথির বাবা-মাকে খবর পাঠানো হয় যে, তাঁদের মেয়ে মারা গিয়েছে। এমন খবর শুনে হতভম্ব হয়ে যান দম্পতি। তাঁদের দাবি, মেয়ের ডাক্তারি পরীক্ষার সমস্ত রিপোর্ট ঠিক ছিল। অপারেশনের পর থেকে বারবার ডাক্তারবাবুর খোঁজ নিয়েছেন মেয়ের। ডাক্তারবাবু আশ্বাস দিয়ে জানিয়েছেন যে, তাঁদের মেয়ে ঠিক আছে। তার পর আচমকা এই মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন ওই দম্পতি। তাঁদের অভিযোগ, ভুল চিকিৎসার জন্য সন্তানহারা হয়েছেন তাঁরা।
মৃতের বাবা গণেশ দাসের দাবি, ‘‘ওই দিন দুপুর দেড়টা নাগাদ মেয়েকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু দীর্ঘ ক্ষণ কেটে যাওয়ার পরও তাকে বার করা হয়নি। কারণ জানতে চাওয়া হলে বলা হয়, জ্ঞান ফিরতে দেরি হবে। এর পর বুধবার রাত প্রায় ২টো নাগাদ আমাদের জানানো হয় যে, মেয়ে মারা গিয়েছে!’’ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই এই ঘটনা নিয়ে শোরগোল শুরু হয় হাসপাতাল চত্বরে। ভুল চিকিৎসার কারণে শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবারের লোকজন অভিযোগ করেন। পোস্টার হাতে দেখা যায় মৃত শিশুর পরিবারকে।
অন্য দিকে, এই অভিযোগ প্রসঙ্গে হাসপাতালের সুপার তাপস ঘোষ বলেন, ‘‘একটি অভিযোগ পেয়েছি। একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ আর কিছুই বলতে চাননি তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy