ভোরের দিকে দু’চোখের পাতা বুজে আসে গাড়ি চালকদের। দুর্ঘটনার শঙ্কাও তখন বেড়ে যায় বহুগুণ। ওই সময়ে চালকদের জাগিয়ে রাখতে চা-জলের ব্যবস্থা করেছে বর্ধমানের জেলা পুলিশ।
সম্প্রতি দেওয়ানদিঘিতে গাড়ি দুর্ঘটনায় মুর্শিদাবাদের একই পরিবারের ছ’জনের মৃত্যু হয়। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের উপরেও একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ সব ক্ষেত্রেই দুর্ঘটনার সময় গাড়ি চালকদের ‘চোখ বুজে’ এসেছিল বলে দাবি করেছে পুলিশ। শীত পড়েছে। এই সময় ভোরের দিকে দুর্ঘটনা বাড়ে। দুর্ঘটনা রোধে সজাগ জেলা পুলিশ।
পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন বলেন, “শীতের রাতে দুর্ঘটনা তুলনায় বেশি ঘটে। অনেক চালকের চোখ লেগে যায়। ঘুম কাটাতে জেলার বিভিন্ন রাস্তায় চা-জলের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।’’ জানা গিয়েছে, গভীর রাত থেকে ভোর পর্যন্ত রাস্তার ধারে জলের বালতি বা বোতল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকছেন পুলিশকর্মী এবং ‘সিভিক ভলান্টিয়ার’রা। গাড়ি থামিয়ে চালকের দিকে বোতল এগিয়ে দিয়ে তাঁরা বলছেন, “চোখে-মুখে ভাল করে জল দিন। একটু হেঁটে নিন। ঘুম ভাব কাটিয়ে স্টিয়ারিংয়ে হাত দিন।” পরামর্শ মানছেন চালকেরা।