নতুন করে জেলা ভাগের চর্চা শুরু হতেই আসরে নেমে পড়ল দুর্গাপুরের নানা রাজনৈতিক গণ সংগঠন। জেলা ভাগ হলে দুর্গাপুর জেলা সদর হোক, এই দাবি নিয়ে সোমবার মোট ১৩টি এমন সংগঠনের জোট মহকুমাশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেয়।
গত কয়েক বছরে এই শহরে শিল্প কারখানার পাশাপাশি নতুন-নতুন স্কুল, ইঞ্জিনিয়ারিং ও ম্যানেজমেন্ট কলেজ, তথ্যপ্রযুক্তি পার্ক, শপিং মল, মাল্টিপ্লেক্স, তারকা হোটেল, বিভিন্ন সংস্থার শো-রুম গড়ে উঠেছে। শহর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে তৈরি হয়েছে অন্ডাল বিমানবন্দর। ওই সব সংগঠনের নেতাদের দাবি, বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূম ও পুরুলিয়া— এই চার জেলার প্রায় কেন্দ্রে রয়েছে দুর্গাপুর। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যমও এই শহর। জাতীয় সড়ক ধরে কলকাতা পৌঁছনো যায় মাত্র তিন ঘণ্টায়। তবে প্রশাসনের একটি সূত্রের খবর, নতুন জেলা গঠন হলে আসানসোলে সদর হতে পারে। ‘দুর্গাপুর চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ’-এর সম্পাদক হরপ্রসাদ ঘোষাল বলেন, ‘‘খনি এলাকা না হওয়ায় এখানে ধসের সম্ভাবনা নেই। তাছাড়া দুর্গাপুর পরিকল্পনা মাফিক গড়া শহর। তাই এখানেই জেলা সদর হোক।’’ ‘ইস্টার্ন ইন্ডিয়া অটোমোবাইল অ্যাসোসিয়েশন’-এর পক্ষে সমীর বসুর বক্তব্য, ‘‘দুর্গাপুরের রাস্তাঘাট চওড়া। যানজট হয় না। তাই সদর কার্যালয় হলে শহরের উপরে যানবাহনের বাড়তি চাপ বোঝা যাবে না।’’
এ দিন স্মারকলিপি দেওয়া ছাড়াও সংগঠনের নেতারা দাবি করেন, জেলার নামকরণে ‘দুর্গাপুর’ শব্দটি রাখতে হবে। দুর্গাপুর থেকে সরকারি ও প্রশাসনিক কোনও অফিস সরিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে না। জেলা ভাগের আগে সম্পূর্ণ পৃথক প্রশাসনিক কাঠামো গড়ে ফেলতে হবে, যাতে সাধারণ মানুষ সমস্যায় না পড়েন। স্মারকলিপির দাবিদাওয়া সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানোর আশ্বাস দেওয়া হয় মহকুমাশাসকের কার্যালয়ের তরফে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy