Advertisement
E-Paper

নিউ কেন্দায় ধস, আতঙ্ক

এরিয়া সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৫-য় খোলামুখ খনিটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর পরে ২০১৬-য় ওই এলাকায় প্রথম ধস নেমেছিল। তার পরে এ পর্যন্ত মোট আট বার ধোঁয়া ও আগুন নির্গত হওয়ার ঘটনা ঘটল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২০ ০৭:২১
ধসের জেরে বসে গিয়েছে মাটি। তৈরি হয়েছে গর্ত। বৃহস্পতিবার নিউ কেন্দা কোলিয়ারি এলাকায়। ছবি: ওমপ্রকাশ সিংহ

ধসের জেরে বসে গিয়েছে মাটি। তৈরি হয়েছে গর্ত। বৃহস্পতিবার নিউ কেন্দা কোলিয়ারি এলাকায়। ছবি: ওমপ্রকাশ সিংহ

ধসের জেরে মাটি থেকে ধোঁয়া, আগুন বার হওয়ায় আতঙ্কে এলাকাবাসীর একাংশ। বুধবার ইসিএলের কেন্দা এরিয়ার নিউ কেন্দা কোলিয়ারির পরিত্যক্ত ওয়েস্ট কেন্দা খোলামুখ খনি এলাকার ঘটনা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খোলামুখ খনির অদূরেই রয়েছে শালডাঙা, ২ ও ৩ নম্বর, ঝাঁটিবন, কোন্দাকুলি, ভুঁইয়াপাড়া। এলাকাবাসী জানান, ওই দিন সকালে জনবসতির প্রায় পাঁচশো মিটার দূর থেকে আচমকা তীব্র আওয়াজ শোনা যায়। ঘটনাস্থলে গিয়ে বাসিন্দারা দেখেন, খনি লাগোয়া এলাকায় ২০ ফুটের বেশি লম্বা ও ১৫ ফুট চওড়া এলাকা জুড়ে মাটি কয়েক ফুট বসে গিয়েছে। ওই এলাকা এবং সংলগ্ন নানা স্থান থেকে ধোঁয়া, আগুন বেরোতে শুরু করেছে। স্থানীয় বাসিন্দা মিণ্টু পাল, মঙ্গল বাউড়িরা জানান, এলাকায় টেকা দায় হয়ে গিয়েছে। ধোঁয়ার প্রকোপে শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। কয়েকটি জায়গায় মাটিতে ফাটল তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তাঁরা দ্রুত পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন।

এরিয়া সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৫-য় খোলামুখ খনিটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর পরে ২০১৬-য় ওই এলাকায় প্রথম ধস নেমেছিল। তার পরে এ পর্যন্ত মোট আট বার ধোঁয়া ও আগুন নির্গত হওয়ার ঘটনা ঘটল। আইএনটিইউসি নেতা তরুণ গঙ্গোপাধ্যায়, সিটু নেতা মনোজ দত্তেরা জানান, পরিত্যক্ত খোলামুখ খনি এলাকার অদূরে নিউ কেন্দা ৩ নম্বর ভূগর্ভস্থ খনি রয়েছে। ধোঁয়া ও আগুনের জেরে বছর চারেক আগে সেই খনি থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ করে দেওয়া হয়। শ্রমিক নেতৃত্বের আশঙ্কা, ‘‘ফের ধস, আগুনের কথা বলে ৪ নম্বর ভূগর্ভস্থ খনিটিও বন্ধ করা হতে পারে।’’ তাঁদের অভিযোগ, পরিত্যক্ত খোলামুখ খনি লাগোয়া এলাকায় অবৈধ খননের জেরেই বারবার এই পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। মনোজবাবুর অভিযোগ, ‘‘পরিত্যক্ত খোলামুখ খনির পাশেই অবৈধ কুয়ো খাদের রমরমা। অবৈজ্ঞানিক ভাবে কয়লা খননের জেরেই খোলামুখ খনির কয়লা স্তরে আগুন ধরছে।’’

বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোরও। মনোজবাবুদের অভিযোগ, ‘‘তৃণমূলের মদতেই অবৈধ কয়লার কারবার চলছে। এর জেরে জনপদ বিপন্ন হচ্ছে।’’ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি।

কেন্দা এরিয়ার জিএম সুভাষকুমার মুখোপাধ্যায় জানান, ওয়েস্ট কেন্দা খোলামুখ খনি বন্ধ করা হলেও সেখানে কয়লা মজুত আছে। দীর্ঘদিন কয়লা খনন বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে বাইরের বাতাসের অক্সিজেনের সংস্পর্শে আসায় একটি কয়লাস্তরে আগুন ধরে। খনি চত্বরে জলস্তর নীচে নেমে গেলে কয়লা স্তর বাতাসের সংস্পর্শে আসায় সেই আগুন বাইরে বেরিয়ে আসে। মজুত কয়লা ভবিষ্যতে কেটে নেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। তাতেই ধোঁয়া, আগুন বেরনো বন্ধ হবে বলেজানান সুভাষবাবু।

New Kenda Road slide
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy