E-Paper

ধুঁকছে ভূমি দফতর, সমস্যা দুর্গাপুর জুড়ে

কর্মীদের সূত্রেই জানা যাচ্ছে, প্রতিটি অফিসেই ব্যাপক কর্মী-সঙ্কট রয়েছে। ব্লক দফতরগুলির মধ্যে পাণ্ডবেশ্বর ও দুর্গাপুর ছাড়া কোনও অফিসেই নেই আমিন।

বিপ্লব ভট্টাচার্য

শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২৪ ০৮:৫৫
An image of Counter

ফাঁকা বিএলএলআরও (কাঁকসা) অফিসের কাউন্টার। —নিজস্ব চিত্র।

দুর্গাপুর মহকুমায় পাঁচটি ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর রয়েছে। কিন্তু আমিন রয়েছেন মাত্র দু’টি অফিসে। প্রতিটি দফতরেই কর্মী-সঙ্কট। এই পরিস্থিতিতে ভূমি দফতরের কাজকর্ম সামলাতে সমস্যায় পড়ছেন বর্তমান কর্মীরা। হয়রান হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ বাসিন্দাদেরও।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মহকুমায় কাঁকসা, পাণ্ডবেশ্বর, অন্ডাল, দুর্গাপুর-ফরিদপুর ও দুর্গাপুর পুরসভা এলাকায় ‘অ্যাডিশনাল দুর্গাপুর’ নামে একটি ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর রয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে একটি মহকুমা দফতরও।

কর্মীদের সূত্রেই জানা যাচ্ছে, প্রতিটি অফিসেই ব্যাপক কর্মী-সঙ্কট রয়েছে। ব্লক দফতরগুলির মধ্যে পাণ্ডবেশ্বর ও দুর্গাপুর ছাড়া কোনও অফিসেই নেই আমিন। এ দিকে সূত্রের মতে, এই দফতরের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ পদ হচ্ছে আমিন। কারণ, জমির যে কোনও বিষয়ে মাপজোক ছাড়া কোনও রিপোর্ট করা যায় না। এই পরিস্থিতিতে কী রকম সমস্যা হচ্ছে, তা কাঁকসা ব্লক ভূমি দফতরের অফিসে ঢুঁ দিয়েই বোঝা যায় বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। ওই মহলের সূত্রে জানা যাচ্ছে, এখানে রেল, বায়ুসেনা, জাতীয় সড়ক, বন দফতরের নানা কাজের জন্য জমি মাপজোক করতে হয়। কিন্তু আমিন না থাকায় খুবই সমস্যা হয়। কাজেও দেরি হয়।

সূত্রের দাবি, এক-একটি অফিসে ‘লোয়ার ও আপার ডিভিশন অ্যাসিস্ট্যান্ট’, হেড ক্লার্ক, হেড অ্যাসিস্ট্যান্ট-সহ নানা পদে নিয়োগ হয়নি এখনও। এই দফতরের বেশ কয়েক জন প্রাক্তন কর্মী জানাচ্ছেন, প্রতিটি অফিসে ন্যূনতম ১৫ জন কর্মী থাকতে হয়। কারণ, শিল্পের জেলা হওয়ায় এখানে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের কাজের চাপ খুবই বেশি। মিউটেশন, জমির চরিত্র বদল, দু’পক্ষের শুনানি, জমির পড়চা বার করার মতো প্রতিদিন বহু কাজ থাকে। পাশাপাশি, কোনও জায়গা নিয়ে সমস্যা হলে সেই জায়গা পরিদর্শন, বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালানোর মতো কাজও রয়েছে। অথচ, জানা যাচ্ছে, পাণ্ডবেশ্বর, দুর্গাপুর-ফরিদপুর, অন্ডালের অফিসগুলিতে কর্মী সংখ্যা মাত্র এক জন করে। আবার, অ্যাডিশনাল দুর্গাপুর, কাঁকসার ব্লক বিএলএলআরও অফিসে রয়েছেন দু’জন করে কর্মী।

এই পরিস্থিতিতে সমস্যায় পড়ছেন এলাকাবাসীও। সম্প্রতি কাঁকসার অফিসে দরখাস্ত করতে এসেও দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় গোপাল মণ্ডল নামে এক জনকে। তিনি সংবাদমাধ্যমের একাংশের কাছে বলেন, “সকাল সাড়ে ১০টা থেকে কাউন্টারের সামনে অপেক্ষা করছি। কোনও লোক নেই। এমনই আরও কয়েক জন এসেছিলেন নানা কাজে। কিন্তু কর্মীর অভাবে তাঁদেরও ফিরে যেতে হয়েছে।” এ দিকে, কর্মীদের সূত্রে জানা যাচ্ছে, অনেক সময়ে পরিষেবা না পেয়ে অশান্তিও বাধে।

বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়ার জন্য ফোন ও মেসেজ করা হলেও কোনও উত্তর দেননি অতিরিক্ত জেলাশাসক (এলআর) অরণ্য বন্দ্যোপাধ্যায়।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Land And Land Reform Staff Crisis Durgapur

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy