Advertisement
E-Paper

পাশ করেও মেলেনি শংসাপত্র

পড়াশোনা শেষে পাশ করে কলেজ ছাড়ার সময় হয়ে গিয়েছে। কিন্তু যে কোর্সে পড়াশোনা, তার অনুমোদন না থাকায় মালদহের গনি খান ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির ছাত্রদের শংসাপত্র দেয়নি তত্ত্বাবধায়ক প্রতিষ্ঠান দুর্গাপুরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট (এনআইটি)।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০০:৫১
এনআইটি-র গেটে ক্ষোভ মালদহের পড়ুয়াদের। নিজস্ব চিত্র।

এনআইটি-র গেটে ক্ষোভ মালদহের পড়ুয়াদের। নিজস্ব চিত্র।

পড়াশোনা শেষে পাশ করে কলেজ ছাড়ার সময় হয়ে গিয়েছে। কিন্তু যে কোর্সে পড়াশোনা, তার অনুমোদন না থাকায় মালদহের গনি খান ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির ছাত্রদের শংসাপত্র দেয়নি তত্ত্বাবধায়ক প্রতিষ্ঠান দুর্গাপুরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট (এনআইটি)। প্রতিবাদে শুক্রবার থেকে এনআইটি-র গেটে অবস্থান শুরু করলেন ওই কলেজের ছাত্রদের একাংশ।

এ দিন বিক্ষোভকারীরা জানান, ২০১০ সালে মালদহের নারায়ণপুরে কলেজটি শুরু হয়। রাজ্য টেকনিক্যাল কাউন্সিল থেকে মেলে অনুমোদন। পরে এনআইটি-র তত্ত্বাবধানে সেখানে বি-টেক কোর্স শুরু হলেও তার অনুমোদন দেয়নি অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন। অন্য দিকে, এনআইটি সূত্রে খবর, ‘নিরাপত্তাহীনতার কারণে’ গত ৭ ডিসেম্বর অনির্দিষ্টকালের জন্য কলেজটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

মালদহের কলেজটিতে বর্তমানে সাতটি বিষয়ে বি-টেক, দু’বছরের সার্টিফিকেট ও ডিপ্লোমা কোর্সে পড়াশোনা হয়। বিক্ষোভকারীরা জানান, গত বছর অগস্টে বি-টেক প্রথম ব্যাচের প্রায় ৮০ জন পড়ুয়া পড়াশোনা শেষ করেছেন। ছাত্রদের অভিযোগ, কলেজ কর্তৃপক্ষ জানান, তাঁদের শংসাপত্র দেবে এনআইটি। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। এই মুহূর্তে সার্টিফিকেট ও ডিপ্লোমা কোর্সে খাতা দেখা ও শংসাপত্র দেওয়ার দায়িত্বে রয়েছে রাজ্য সরকারের স্টেট কাউন্সিল। কিন্তু ডিপ্লোমা কোর্সেরও পরীক্ষার খাতা দেখা হয়নি বলে অভিযোগ।

কলেজ চালু ও শংসাপত্রের দাবিতে বৃহস্পতিবার ৩০ জন পড়ুয়া মালদহ থেকে দুর্গাপুরে এসে এনআইটি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেন। কিন্তু তাতে সমাধানসূত্র বের না হওয়ায় শুরু হয় বিক্ষোভ। দ্বিতীয় বর্ষের ডিপ্লোমা কোর্সের পড়ুয়া পুষ্পজিৎ সরকার, সার্টিফিকেট কোর্সের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া গোপীনাথ রাজবংশীদের ক্ষোভ, ‘‘প্রায় আটশো ছাত্রের
ভবিষ্যৎ সংশয়ে।’’

তবে এত দিনেও কোর্সের অনুমোদন মেলেনি কেন, তার কোনও সদুত্তর দেননি কর্তৃপক্ষ। যদিও এনআইটি-র ডিরেক্টর অশোককুমার দে বলেন, ‘‘বিষয়টি কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক ও রাজ্যের স্টেট কাউন্সিলকে জানিয়েছি।’’

INTUC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy