Advertisement
E-Paper

খনি বন্ধ, কেন্দায় আশঙ্কায় কর্মীরা

ওই খনির অদূরে পরিত্যক্ত ওয়েস্ট কেন্দা খোলামুখ খনিতে আগুন লেগে যায় মাসখানেক আগে। ডিজিএমএস-এর নির্দেশে ২৬ জুলাই রাত থেকে ৪ নম্বর খনি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০১৭ ০৩:৫৯
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

উৎপাদন বন্ধ প্রায় এক মাস। কবে চালু হবে, কর্তৃপক্ষের তরফে কিছু জানানো হয়নি। এই পরিস্থিতিতে ইসিএলের কেন্দা এরিয়ার নিউকেন্দা কোলিয়ারির ৪ নম্বর খনিটি বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে বলে আশঙ্কায় ভুগছেন কর্মীরা। ইসিএল কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, নিরাপত্তার স্বার্থে খনিটি বন্ধ রাখা হয়েছে। ডিরেক্টর জেনারেল অব মাইনস সেফটি-র (ডিজিএমএস) অনুমতি পেলেই তা চালু করা হবে।

কোলিয়ারি সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই খনির অদূরে পরিত্যক্ত ওয়েস্ট কেন্দা খোলামুখ খনিতে আগুন লেগে যায় মাসখানেক আগে। ডিজিএমএস-এর নির্দেশে ২৬ জুলাই রাত থেকে ৪ নম্বর খনি বন্ধ করে দেওয়া হয়। খনি কর্তৃপক্ষ জানান, ওই পরিত্যক্ত খনির কয়লাস্তরের সঙ্গে ৪ নম্বর খনিটির কয়লাস্তরের যোগ আছে। সেখানেও আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারে, এই আশঙ্কায় খনিটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। বছর তিনেক আগে একই কারণে এই কোলিয়ারির ৩ নম্বর খনিটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়।

খনিকর্মীদের দাবি, কোনও কারণ দেখিয়ে চালু খনিটিও বন্ধ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। সিটু নেতা মনোজ দত্তের অভিযোগ, ‘‘১৯৯৫ সালে ৩ নম্বর খনির ভিতরে আগুন লেগে ৫৫ জন কর্মীর মৃত্যু হয়েছিল। তার পরে সুরক্ষার বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষ উপযুক্ত পদক্ষেপ করেননি। তারই ফল ভোগ করতে হচ্ছে।’’ তাঁরও দাবি, সংস্থা কোনও ভূগর্ভস্থ খনি চালাতে চাইছে না। যে কোনও উপায়ে তারা খনি বন্ধ করে বেসরকারি হাতে তুলে দিতে চাইছে।

ইসিএল কর্তৃপক্ষ যদিও এই অভিযোগ মানতে চাননি। ওই খনিতে ৪৫৮ কর্মী রয়েছেন। প্রতিদিন প্রায় ১৫০ মেট্রিক টন কয়লা উৎপাদন হতো। সংস্থার এক আধিকারিক বলেন, ‘‘ডিজিএমএস-এর নির্দেশ, প্রথমে খনির ভিতরে সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। তার পরেই খনি চালুর অনুমতি মিলবে।’’

Mine Mine Worker ECL
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy