আসানসোল স্টেশনে বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র।
শুধু নিজের ঘর পরিষ্কার রাখলে হবে না। সাজিয়ে তুলতে হবে পরিবেশ। পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে চলার পথ। নিজে সুস্থ থাকতে হবে ও অপরকে সুস্থ রাখতে হবে।
এই রকম নানা স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে জন সচেতনতা অভিযান শুরু করেছে আসানসোল ডিভিশনের স্কাউটের সদস্যেরা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আসানসোল স্টেশন চত্বরে সাধারণ যাত্রীদের এই সব বোঝালেন তাঁরা।
বুধবার দুর্গাপুর স্টেশন থেকে এই অভিযান শুরু হয়েছে। চলবে ৯ জুন পর্যন্ত। প্রতি দিন নানা দলে ভাগ হয়ে সদস্যেরা কখনও প্ল্যাটফর্ম, কখনও স্টেশনের বাইরে, আবার কখনও ট্রেনে চেপে যাত্রীদের বোঝাচ্ছেন। বুকে প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে চার নম্বর প্ল্যাটফর্মে হেঁটে বেড়াতে দেখা গেল সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী তিথি মুখোপাধ্যায়কে। তার প্ল্যাকার্ডে পরিবেশ সুন্দর রাখা, স্বচ্ছ ভারত গড়ার আর্জি। সে বলে, ‘‘যাঁরা এ সব জানেন তাঁদের আরও এক বার মনে করিয়ে দেওয়া, আর যাঁরা জানেন না তাঁদের জানানোর জন্য এই অভিযানে নেমেছি আমরা।’’ তাদের মতে, সবাই নিজের ঘর সুন্দর করে সাজায়, পরিষ্কার করে। ফলে, ঘরের নোংরা বাইরে যেখানে-সেখানে ফেলে দেয়। তাতে লাভ কিছু হয় না। কারণ, ময়লা আবার বাড়িতে চলে আসে। তাই পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা সবচেয়ে জরুরি। তাতে সকলেরই উপকার।
পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়া নীতিশ ঠাকুর বা দ্বাদশ শ্রেণির কৌস্তভ রায়, প্রত্যেকেই ট্রেন ধরতে আসা বা ট্রেন থেকে নামা যাত্রীদের বোঝাচ্ছিল, তাঁরা যেন কখনও অপরিচিত কোনও যাত্রী বা ব্যক্তির কাছ থেকে খাবার বা পানীয় না খান। তাহলে বিপদে পড়তে হতে পারে, লুঠ হয়ে যেতে পারে সর্বস্ব। আরও বোঝায়, ট্রেনের কামরা পরিষ্কার রাখতে হবে। আবর্জনা ফেলতে হবে নির্দিষ্ট জায়গায়। কারণ, ট্রেনে তো তাঁদেরই যাত্রা করতে হবে।
সদস্যেরা কে কেমন কাজ করছে তা আগাগোড়া নজরে রেখেছেন দলনেতা সৈয়দ জাফর ইমরান। মাঝে-মাঝে নিজে এসে কথা বলে যাচ্ছিলেন কনিষ্ঠ সদস্যদের সঙ্গে। তিনি জানান, রেলের তরফে তাঁদের কাছে পনেরো দিন এই অভিযান চালানোর নির্দেশ এসেছে। ইমরান জানান, আসানসোল ডিভিশনের যশিডি, উখড়া, মধুপুর-সহ বেশ কিছু জায়গায় লেভেল ক্রসিং বেশ বিপজ্জনক। সেখানে যাতে পথচারীরা বিপদে না পড়েন, সে জন্য নাটকের মাধ্যমে সচেতন করে তোলার কর্মসূচিও নেওয়া হয়েছে। তাঁদের শ’দেড়েক সদস্য এই কাজ করছেন বলে জানান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy