Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪

প্রার্থীর সম্পর্কে তথ্য ঠিক নয়, দাবি বিধায়কের

ভোট মিটে যাওয়ার পরে রাজ্য নির্বাচনের কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রার্থী সম্পর্কে দেওয়া তথ্য ভুল বলে অভিযোগ করলেন কালনার তৃণমূল নেতা বিশ্বজিৎ কুণ্ডু। তাঁর দাবি, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের জয়ী সিপিএম প্রার্থী অলোক সাহা সম্পর্কে যে তথ্য ও সম্পত্তির খতিয়ান দেওয়া হয়েছে ওয়েবসাইটে তা ঠিক নয়। সেটি একই নামের অন্য প্রার্থীর বিবরণ বলেও তাঁর দাবি। বিধায়কের আরও অভিযোগ, নিয়মবিরুদ্ধ ভাবে প্রার্থী হয়েছেন অলোকবাবু।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কালনা শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০১৫ ০১:২০
Share: Save:

ভোট মিটে যাওয়ার পরে রাজ্য নির্বাচনের কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রার্থী সম্পর্কে দেওয়া তথ্য ভুল বলে অভিযোগ করলেন কালনার তৃণমূল নেতা বিশ্বজিৎ কুণ্ডু। তাঁর দাবি, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের জয়ী সিপিএম প্রার্থী অলোক সাহা সম্পর্কে যে তথ্য ও সম্পত্তির খতিয়ান দেওয়া হয়েছে ওয়েবসাইটে তা ঠিক নয়। সেটি একই নামের অন্য প্রার্থীর বিবরণ বলেও তাঁর দাবি। বিধায়কের আরও অভিযোগ, নিয়মবিরুদ্ধ ভাবে প্রার্থী হয়েছেন অলোকবাবু।

এর আগে দু’বার নিজের ওয়ার্ড ১৮ নম্বর থেকে জিতলেও এ বার সেটি মহিলা সংরক্ষিত হয়ে যাওয়ায় ৭ নম্বর ওয়ার্ডে দাঁড়ান বিশ্বজিৎবাবু। বহু বছর ধরে বামেদের দখলে থাকা এই ওয়ার্ডে বিশ্বজিৎবাবু হারেন ১২১ ভোটে। তৃণমূল সূত্রে খবর, ফল বেরোনোর পরে বিধায়কের অনুগামীরা নির্বাচন কমিশনের একটি নির্দেশিকা জোগাড় করেন। তাতে পুরভোটে প্রার্থী হওয়ার নানা নিয়মকানুন লেখা ছিল। কারা কারা প্রার্থী হতে পারবেন না তাও বলা ছিল। তৃণমূল কর্মীদের দাবি, একটি সরকারি গ্রন্থাগারের কর্মী হওয়া সত্ত্বেও ওই প্রার্থী ভোটে দাঁড়িয়েছেন, যা নিয়মবিরুদ্ধে। এরপরেই রবিবার রাতে বিধায়ক শিবিরের তরফে সিদ্ধান্ত হয়, বিষয়টি প্রশাসনের কাছে জানিয়ে তদন্ত চাইবেন তাঁরা। সোমবার এই মর্মে একটি চিঠিও জমা পরে মহকুমাশাসকের কাছে। বিশ্বজিৎবাবু বলেন, ‘‘সরকারি নির্দেশিকা দেখে আমাদের অনেকেরই সন্দেহ হয়েছে যে সাত নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএমের প্রার্থী নিয়ম মেনে প্রার্থী হননি। আমরা মহকুমা প্রশাসনের কাছে ঘটনার তদন্ত দাবি করেছি।’’

যদিও এই ওয়ার্ডে সিপিএমের হয়ে জেতা অলোকবাবুর দাবি, তিনি নিয়ম মেনেই প্রার্থী হয়েছেন। প্রার্থী হওয়ার আগে নিজের সম্বন্ধে কোনও তথ্য গোপনও করেননি। সিপিএমের কালনা জোনাল কমিটির সদস্য স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানান, ওনাকে প্রার্থী করার আগে দল নিয়মকানুন খতিয়ে দেখেছে। যে ধরনের সরকারি গ্রন্থাগারে কাজ করলে প্রার্থী হওয়া যায় না, অলোকবাবুর গ্রন্থাগার তার মধ্যে পড়ে না। ফলে বিষয়টি নিয়ে মাথাব্যাথা নেই দলের। কালনার মহকুমাশাসক অবশ্য পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।

বিধায়কের অনুগামীরা আরও অভিযোগ, নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে বিষয় সম্পত্তি-সহ প্রার্থীদের সম্বন্ধে যে তথ্য রয়েছে তাতে সাত নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থীর সম্পর্কে কোনও তথ্য নেই। তার পরিবর্তে সিপিএমের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী, অলোক সাহার তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। গত কয়েকদিনে বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের একাংশ কর্মীরা সরব হয়েছেন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটেও। বিশ্বজিৎবাবুর প্রশ্ন, এত বড় ভুল হয় কীভাবে। বিষয়টি নিয়ে কালনার মহকুমাশাসকের সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি।

মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরনির্বাচনের প্রার্থীদের বিবরণ, নির্বাচনের ফল সহ নানা তথ্য কমিশনের সাইটে আপলোড করা হয়েছে। কালনার মহকুমাশাসক সব্যসাচী ঘোষ বলেন, ‘‘আমরা তদন্ত করে দেখেছি, সাত নম্বর ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে তথ্য সঠিক ভাবে আপলোড না করার ফলেই এমন ভুল হয়েছে। সেটা ঠিক করার জন্য কমিশনের কাছে নথি পাঠানো হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

kalna trinamool tmc website election vote
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE