Advertisement
E-Paper

তৃণমূলে ‘বঙ্গধ্বনি’র প্রস্তুতি জনসংযোগে

তৃণমূল সূত্রের খবর, রাজ্য সরকারের দেওয়া নানা সুবিধার কথা যেমন তুলে ধরা হবে, তেমনই সরকারি সুবিধা থেকে কেউ কোনও কারণে বঞ্চিত হলে, সেই জট খোলাও এই কর্মসূচির অন্যতম উদ্দেশ্য।

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২০ ০১:১৫
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

আরও বেশি জনসংযোগের লক্ষ্যে এ বার ‘বঙ্গধ্বনি’ কর্মসূচি নিতে চলেছে তৃণমূল। তা সফল করা নিয়ে কয়েকদিন আগে দলের ব্লক ও শহরের সভাপতি, বিধায়ক, যুব সংগঠনের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেছেন পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি স্বপন দেবনাথ। তৃণমূল সূত্রের খবর, সব ঠিক থাকলে ১ ডিসেম্বর থেকে ১৫ দিন ওই কর্মসূচি চলবে। যদিও রবিবার স্বপনবাবু বলেন, ‘‘কর্মসূচি এখনও চূড়ান্ত হয়নি।’’

লোকসভা ভোটের পরে জনসংযোগ বৃদ্ধিতে ‘দিদিকে বলো’ ও ‘বাংলার গর্ব মমতা’ নামে দু’টি কর্মসূচি নেয় তৃণমূল। ‘দিদিকে বলো’য় অনেক অভিযোগ জমা পড়েছিল। অনেক অভিযোগের সমাধানে দেরি নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সূত্রের দাবি, ‘দিদিকে বলো’র মতোই সরাসরি জনসংযোগের রাস্তায় হাঁটবে ‘বঙ্গধ্বনি’। মূলত স্থানীয় বিধায়ক এবং ব্লক বা শহর সভাপতির নেতৃত্বেই এই কর্মসূচি হবে। যেখানে দলের বিধায়ক নেই, সেখানে গত বারের তৃণমূল প্রার্থী যোগ দেবেন। কর্মসূচির উপরে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা নজর রাখবে বলেও তৃণমূল সূত্রের দাবি।

তৃণমূল সূত্রের খবর, রাজ্য সরকারের দেওয়া নানা সুবিধার কথা যেমন তুলে ধরা হবে, তেমনই সরকারি সুবিধা থেকে কেউ কোনও কারণে বঞ্চিত হলে, সেই জট খোলাও এই কর্মসূচির অন্যতম উদ্দেশ্য। আমজনতার অসুবিধার কথাও জানা হবে। মূলত তিনটি স্তরে জনসংযোগের ভাবনা রয়েছে, বাড়ি-বাড়ি প্রচার, জনবহুল জায়গা বা দোকানে আড্ডা এবং ছোট-ছোট জনসভা। তৃণমূলের এক নেতার কথায়, ‘‘জনবহুল জায়গার মধ্যে স্বাস্থ্যকেন্দ্র, হাসপাতাল, ধর্মস্থানের কথাও বলা হয়েছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রোগী-চিকিৎসকদের সুবিধা-অসুবিধা জানতে হবে।’’ তাঁর দাবি, চাষি, ব্যবসায়ী থেকে বিশিষ্টজন, সমাজের নানা স্তরের মানুষের বাড়ি যাওয়া কর্তব্য বলে জানানো হয়েছে। পঞ্চায়েতে বা ওয়ার্ডের কর্মীদের বাড়ি গিয়ে মধ্যাহ্নভোজ করারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা কর্মসূচির রূপরেখা তৈরি করে দেবে বলে জানা গিয়েছে।

তৃণমূল সূত্রের দাবি, ‘বহিরাগত নয়, বাংলা চালাবে বাংলার মানুষ’, এই স্লোগান সামনে রেখে প্রচারের ভাবনা রয়েছে। বিধানসভা ভোটের আগে এই কর্মসূচি কর্মীদের মনোবল বাড়াবে, আশা তৃণমূল নেতৃত্বের। বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি (বর্ধমান সদর) সন্দীপ নন্দীর প্রতিক্রিয়া, ‘‘এই কর্মসূচি আসলে রোগীকে তেতো ওষুধ খাওয়ানো। আমাদের কর্মীরা বাড়ি-বাড়ি গিয়ে মানুষের আশীর্বাদ পাচ্ছেন। মানুষ যে আর তৃণমূলকে সাড়া দেবেন না, তা পরিষ্কার।’’

TMC Mass connevtivity
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy