প্রশাসনিক কাজকর্মের সুবিধার জন্য ভাগ হয়েছে জেলা। গড়ে উঠেছে নতুন জেলা ‘পশ্চিম বর্ধমান’। যে সব কাজের জন্য এই এলাকার মানুষজনকে বর্ধমানে যেতে হতো, এ বার তা হবে না। কাজ হবে নতুন জেলা সদর আসানসোলেই। কিন্তু সর্বশিক্ষা মিশনের যাবতীয় কাজকর্মের জন্য আপাতত পশ্চিম বর্ধমানের স্কুলগুলিকে বর্ধমানেই যেতে হবে বলে শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর। কারণ, জেলা ভাগ হলেও সর্বশিক্ষা দফতরের দায়িত্ব ভাগ হয়নি।
জেলা সর্বশিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কর্মী-আধিকারিক মিলিয়ে প্রায় ২৫-২৬ জন প্রয়োজন হয় দফতর চালাতে। নতুন জেলায় সর্বশিক্ষা মিশনের কাজকর্ম পরিচালনার জন্য কোনও কমিটি এখনও গড়া হয়নি। টাকা বরাদ্দ হয় স্কুলভিত্তিক, জেলাভিত্তিক নয়। অবিভক্ত বর্ধমান জেলার সমস্ত স্কুলের টাকা একটি বাজেটে ধরা আছে। শিক্ষাবর্ষ শুরুর তিন মাস কেটে যাওয়ার পরে বাজেট ভাগ করা সমস্যা, জানাচ্ছেন আধিকারিকেরা। তাছাড়া সরকারি ভাবে তেমন কোনও নির্দেশিকাও আসেনি। ফলে, জেলা ভাগ হলেও সর্বশিক্ষা মিশনের কাজকর্ম আপাতত কেন্দ্রীয় ভাবে বর্ধমান থেকেই পরিচালনা করা হবে বলে দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
পশ্চিম বর্ধমানের বিভিন্ন স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায়, অন্য নানা দফতরের মতো সর্বশিক্ষা মিশনের কাজকর্মও নতুন জেলা প্রশাসন থেকেই পাওয়ার আশা করছেন তাঁরা। তাঁদের মতে, নতুন জেলার অধিকাংশ স্কুল থেকে আসানসোলের দূরত্ব গড়ে ৩০ কিলোমিটার। সেখানে বর্ধমানের দূরত্ব কোনও-কোনও স্কুল থেকে ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি।
বই আনা, অনুদানের চেক আনা, স্কুলের উন্নয়নের জন্য তদ্বির করা-সহ নানা কাজের জন্য স্কুলের প্রধান শিক্ষককে সর্বশিক্ষা দফতরে যেতে হয়। এখনও এ সব কাজের জন্য বর্ধমানেই যেতে হলে জেলা ভাগের সুফল আর কী মিলল, প্রশ্ন তুলছে নানা স্কুলের কর্তৃপক্ষ। অবিলম্বে আসানসোলেও সর্বশিক্ষা মিশনের দফতর খোলার আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা।
অবিভক্ত বর্ধমান জেলার সর্বশিক্ষা মিশনের জেলা প্রকল্প আধিকারিক শারদ্বতী চৌধুরী বলেন, ‘‘কাজকর্মের ভাগ নিয়ে সরকারি ভাবে কোনও নির্দেশিকা এখন পর্যন্ত দফতরে আসেনি। কী ভাবে কাজ হবে তা জানতে সংশ্লিষ্ট দফতরে শীঘ্রই চিঠি পাঠাব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy