হাসপাতালে মৃতের পরিজনেরা। নিজস্ব চিত্র।
অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে এক বৃদ্ধের। কৃষ্ণপদ বন্দ্যোপাধ্যায় (৬১) নামে ওই বৃদ্ধ আউশগ্রাম থানার বাহাদুরপুরের বাসিন্দা। তাঁর পরিবারের দাবি, অবসর নেওয়ার এক বছর পরেও প্রাপ্য কোনও টাকা পাননি তিনি। ব্যাঙ্কের ঋণও ছিল। সবমিলিয়ে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। তার জেরেই তিনি আত্মঘাতী হন বলে পরিবারের দাবি।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার ভোরে কীটনাশক পান করেন তিনি। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে বুধবার সন্ধ্যায় তাঁর মৃত্যু হয়। আউশগ্রামের যমুনা দিঘি মৎস্য খামারে করণিক ছিলেন কৃষ্ণপদবাবু।
এ দিন হাসপাতাল চত্বরে দাঁড়িয়ে মৃতের ছেলে কুন্তলবাবু জানান, গত বছর ডিসেম্বরে অবসর নেন কৃষ্ণপদবাবু। কিন্তু কোনও পেনশন, গ্র্যাচুইটি বা প্রাপ্য টাকা পাননি তিনি। গত এক বছরে প্রয়োজনীয় নথিপত্র নিয়ে বারবার আবেদন করার পরেও কোনও লাভ হয়নি বলে তাঁর দাবি। এ ছাড়াও বছর চারেক আগে বাড়ি তৈরি ও মেয়ের বিয়ের জন্য একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে আড়াই লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন তিনি। সেই টাকা শোধ করার জন্য ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের তরফেও তাগাদা ছিল। এমনকী, টাকা শোধ না করতে পারলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানানো হয় বলে তাঁদের দাবি। দু’দিন আগে সেই মর্মে ব্যাঙ্কের চিঠিও পান তাঁরা। এরপরেই কৃষ্ণপদবাবু মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন বলে তাঁর দাবি। মৃতের ভাগ্নে অরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানান, মাঝেমধ্যেই কলকাতায় বিধাননগরে মৎস্য দফতরের পাওনা টাকার জন্য কথা বলতে যেতেন কৃষ্ণপদবাবু। কিন্তু কাজ হয়নি।
এ দিন আউশগ্রামে ওই মৎস্য দফতরের আধিকারিক রামহরি দাস বৈষ্ণব জানান, পেনশনের কাগজপত্র এই দফতরে জমা নেওয়া হয় না, তা জমা নেওয়া হয় কলকাতার মূল অফিসে। তবে কৃষ্ণপদবাবু বছরখানেক আগে অবসর নেওয়ার পরেই কাগজপত্র জমা দিয়েছেন বলে তাঁর দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy