Advertisement
১৮ মে ২০২৪

গাফিলতির নালিশ, ক্ষোভ হাসপাতালে

হাসপাতালে ঠিক সময়ে সর্পদষ্ট হওয়া এক মহিলার চিকিৎসা শুরু হয়নি। এর জেরে মহিলার মৃত্যু হয়েছে। এই অভিযোগে শুক্রবার সকাল থেকেই দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখালেন মৃতার পরিবারের লোকজন ও পড়শিরা।

দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে মৃতার পরিবার ও  পড়শিরা। —নিজস্ব চিত্র।

দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে মৃতার পরিবার ও পড়শিরা। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০১৬ ০০:৫৮
Share: Save:

হাসপাতালে ঠিক সময়ে সর্পদষ্ট হওয়া এক মহিলার চিকিৎসা শুরু হয়নি। এর জেরে মহিলার মৃত্যু হয়েছে। এই অভিযোগে শুক্রবার সকাল থেকেই দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখালেন মৃতার পরিবারের লোকজন ও পড়শিরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মঞ্জু আহুজা (৫০) নামে দুর্গাপুরের সিনেমা রোডের রেলগেট এলাকার ওই বাসিন্দা পশ্চিম রেলগেট পার হচ্ছিলেন। তাঁর বাঁ পায়ে সাপে আচমকা ছোবল মারে। পরিবারের লোকজন মঞ্জুদেবীকে নিয়ে সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিট নাগাদ দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। তাঁকে ভর্তি করানো হয় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে। পরিবারের অভিযোগ, জরুরি বিভাগে ভর্তি করার পরেও দীর্ঘক্ষণ ফেলে রাখা হয় ওই মহিলাকে। অভিযোগ, সেই সময় জরুরি বিভাগে দেখা মেলেনি কোনও চিকিৎসকের। জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত নার্স ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মীদের বারবার ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হলেও লাভ হয়নি বলে জানান পরিবারের লোকজন। শেষমেশ প্রায় মিনিট ৪৫ বাদে এক জন চিকিৎসক এসে জানান, মঞ্জুদেবীর মৃত্যু হয়েছে। মারা যাওয়ার খবর পাওয়া মাত্রই বাড়ির লোকজন হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। কিন্তু রাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দেখা না মেলায় তাঁরা ফিরে যান।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল থেকেই ফের মৃতার পরিবারের লোকজন হাসপাতাল চত্বরে জড় হন। হাসপাতাল সুপার দেবব্রত দাসের ঘরের সামনে শুরু হয় বিক্ষোভ। মৃতার পড়শি অজয় সাউয়ের অভিযোগ, ‘‘হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ভর্তি করানোর পরেও ন্যূনতম চিকিৎসা পরিষেবাটুকুও মেলেনি। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টার মতো ফেলে রাখা হয় মঞ্জুদেবীকে।’’ বিক্ষোভ শেষে হাসপাতালের সুপারের কাছে একটি অভিযোগপত্রও তুলে দেওয়া হয়। মৃতার ছেলে পাপু আহুজার দাবি, ‘‘চিকিৎসার গাফিলতিতেই মা মারা গিয়েছেন। যাঁদের গাফিলতি ছিল তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছি সুপারের কাছে।’’

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, জরুরি বিভাগে দু’জন করে চিকিৎসক থাকার কথা। কিন্তু চিকিৎসকের সংখ্যা কম থাকায় আপাতত এক জন করেই থাকেন বলে হাসপাতালে সূত্রে জানা গিয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, মহিলা যখন জরুরি বিভাগে ভর্তি হন, তখন ওই বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক অন্য ওয়ার্ডে রোগী দেখতে গিয়েছিলেন।

হাসপাতাল সুপার দেবব্রত দাসের বক্তব্য, ‘‘অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গাফিলতি প্রমাণিত হলে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

medical negligence
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE