তিন মাসে কারও বিদ্যুৎ বিল ৫৩ হাজার টাকা, কারও বা ৩৫ হাজার। এমনই ‘ভুতুড়ে বিল’-এর বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন কেতুগ্রামের রাজুর গ্রামের দক্ষিণপাড়ার ২০-২৫টি পরিবারের সদস্যেরা।
এলাকাবাসীর দাবি, ওই পরিবারগুলির বেশির ভাগই বিপিএল তালিকাভুক্ত। তাঁদের অভিযোগ, বিদ্যুৎ দফতরের সাবস্টেশনে (রামজীবনপুর) যোগাযোগ করা হলে সেখান থেকে জানানো হয়, ওই বিলই দিতে হবে। অথচ সে ভাবে বৈদ্যুতিন জিনিসপত্র বাড়িতে চলে না বলে দাবি ওই পরিবারগুলির। রাকিব শেখ নামে এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘বাড়িতে শুধু একটা পাখা চলে। রাতে আলো নেভানো থাকে। তার পরেও তিন মাসে বিল এসেছে ৫৩ হাজার টাকা।’’
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গ্রামীণ বিদ্যুৎ পরিষেবা প্রকল্পে কেতুগ্রাম ১ ব্লকের ২৬টি গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়। রাজুর গ্রামের দক্ষিণপাড়ার বাকের শেখ, আব্দুল সালেক, কোহিনূর বিবিরা বলেন, ‘‘এত দিন বিল আসত আটশো থেকে হাজার টাকা। এ বারের বিল অবিশ্বাস্য। কোথাও একটা ভুল হয়েছে বিদ্যুৎ দফতরের।’’
বিষয়টি নিয়ে কাটোয়া মহকুমা প্রশাসনেরও দ্বারস্থ হয়েছেন বলে জানান ওই পরিবারের সদস্যেরা। বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার (কাটোয়া) রথীন বিশ্বাসের আশ্বাস, ‘‘বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর করে পদক্ষেপ করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy