—প্রতীকী ছবি।
লোকসভা নির্বাচন সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার কথা জানাল পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ড পুলিশ। দু’পক্ষ সমন্বয় গড়ে কাজ করবে বলে বুধবার দুর্গাপুরে আয়োজিত বৈঠকে একমত হয়েছেন দুই রাজ্যের পুলিশকর্তারা।
এ দিন দুর্গাপুরের ডিএসপি টাউনশিপের দুর্গাপুর হাউসে পশ্চিমবঙ্গের আইজি (পশ্চিমাঞ্চল) রাজীব মিশ্র ও ঝাড়খণ্ডের পুলিশকর্তারা বৈঠক করেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দুই রাজ্যের সীমানাবর্তী জেলার পুলিশকর্তারা। ছিলেন আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার, দুই মেদিনীপুরের ডিআইজি, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূমের পুলিশ সুপার ও অন্য পুলিশকর্তারা। ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ, বোকারো, জামতাড়া, পাকুড়, দুমকা, পূর্ব সিংভূম, রাঁচি, নিরসা জেলার পুলিশ আধিকারিকেরা ছিলেন বৈঠকে।
পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডের মধ্যে বিস্তীর্ণ সীমানা এলাকা রয়েছে। দুষ্কৃতীরা অপরাধমূলক কাজকর্ম করে পাশের রাজ্যে গা ঢাকা দেয় বলে অতীতে বারবার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ জানায়, এ দিনের বৈঠকে পড়শি রাজ্যের পুলিশকর্তারা এই রাজ্যের পুলিশকর্তাদের সঙ্গে অপরাধী ও দুষ্কৃতীদের সম্পর্কে নানা তথ্য বিনিময় করেন। আগাম ব্যবস্থা হিসেবে তাদের গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুষ্কৃতীরা কোন কোন এলাকা দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকতে পারে তা বৈঠকে প্রোজেক্টরের মাধ্যমে দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ড পুলিশ চারশোরও বেশি দুষ্কৃতীর তালিকা তৈরি করেছে। এর মধ্যে সাধারণ দুষ্কৃতী ছাড়াও দাগি অপরাধী, ৩০ জন মাওবাদী ও অন্য বিচ্ছিন্নতাবাদীরা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি পদক্ষেপ করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
ঝাড়খণ্ডের বোকারোর ডিআইজি প্রভাতকুমার বলেন, ‘‘লোকসভা নির্বাচনের সময়ে পাশাপাশি দুই রাজ্যের মধ্যে ব্যাপক সমন্বয় প্রয়োজন। বৈঠকে দুই রাজ্যের পুলিশের মধ্যে নানা বিষয়ে তথ্য আদান-প্রদান হয়। এর ফলে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযানে সুবিধা হবে। দু’শোরও বেশি দুষ্কৃতীর তালিকা আমরা পশ্চিমবঙ্গের হাতে তুলে দিয়েছি। যার মধ্যে সাধারণ দুষ্কৃতী থেকে শুরু করে ফেরার মাওবাদী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীরাও রয়েছে। সীমানা এলাকার থানাগুলি আধা সামারিক বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করবে।’’ পশ্চিমবঙ্গের পক্ষ থেকেও এ দিন ঝাড়খণ্ড পুলিশের হাতে দু’শোর বেশি দুষ্কৃতীর তালিকা তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানান ডিআইজি।
আইজি (পশ্চিমাঞ্চল) রাজীব মিশ্র বলেন, ‘‘সীমানার ওপারে ঝাড়খণ্ডে মাওবাদীরা সক্রিয় রয়েছে। আমাদের রাজ্যে যৌথবাহিনীর অভিযান হয়। তাই এখানে পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ। কিন্তু এ দিকে এসে ওরা অশান্তি পাকাতে পারে, সেই সম্ভাবনা থেকে যায়। আমরা সতর্ক রয়েছি।’’ তিনি আরও জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিভিন্ন জায়গায় নাকা চেকিং, আধা সামরিক বাহিনীর সঙ্গে তথ্য আদানপ্রদান করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy