Advertisement
E-Paper

রোগী কোথায় পৌঁছল ফোনে জানবে প্রশাসন

কখনও সরকারি হাসপাতালে যাওয়ার পথে রোগী পরিবারকে বুঝিয়ে নার্সিংহোমে নিয়ে গিয়ে মোটা অঙ্কের কমিশন হাতানো— অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠে প্রায়ই। হয়রানি বন্ধ করতে ওই চালকদের উপর কড়া নজরদারি শুরু করল কালনা মহকুমা প্রশাসন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০১৭ ১৫:০০
—প্রতীকী ছবি

—প্রতীকী ছবি

কখনও রাতে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য দ্বিগুণ ভাড়া নেওয়া। কখনও সরকারি হাসপাতালে যাওয়ার পথে রোগী পরিবারকে বুঝিয়ে নার্সিংহোমে নিয়ে গিয়ে মোটা অঙ্কের কমিশন হাতানো— অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠে প্রায়ই। হয়রানি বন্ধ করতে ওই চালকদের উপর কড়া নজরদারি শুরু করল কালনা মহকুমা প্রশাসন।

শুক্রবার ওই বৈঠকে ঠিক হয়েছে, সরকারি হাসপাতাল চত্বরে বেসরকারি অ্যাম্বুল্যন্স ঢুকতে পারবে না। বাইরে বিশেষ করে রাতে কোন কোন অ্যাম্বুল্যান্স রয়েছে, সে তথ্য জানাতে হবে হাসপাতালকে। প্রত্যেক অ্যাম্বুল্যান্সে রাখতে হবে প্রাথমিক চিকিৎসার সামগ্রী। এ ছাড়াও দূরে রোগীকে নিয়ে যেতে যেহেতু অ্যাম্বুল্যান্সই ভরসা, তাই চালকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে। যাতে প্রয়োজনে ইঞ্জেকশন দেওয়া, অক্সিজেনের নল লাগিয়ে দেওয়ার মতো কাজ তাঁরা করতে পারেন। চালকেরা সম্মতিও জানিয়েছেন।

ওই বৈঠকে সাফ জানানো হয়, যেমন খুশি ভাড়া নেওয়ার দিন শেষ। বর্ধমান, কলকাতা যাওয়ার ভাড়ার তালিকা প্রকাশ্যে টাঙানোর কথা বলা হয়। মহকুমাশাসক নীতিন সিংহানিয়া ভাড়ার তালিকা তৈরির দায়িত্ব দেন হাসপাতাল সুপার কৃষ্ণচন্দ্র বরাই এবং পুরপ্রধান দেবপ্রসাদ বাগকে। জানানো হয়, এ বার থেকে রোগীকে যে হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে সেখানেই নিয়ে হবে। অন্য কোথাও গেলে কারণ দর্শাতে হবে। এ ছাড়াও অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য তৈরি হচ্ছে আলদা খাতা। সেখানে রোগী যাওয়ার আগে চালককে নিজের ফোন নম্বর ও সেই হাসপাতালের নাম লিখতে হবে। রোগীকে পৌঁছে দিয়ে আসার পরে ফের সই করতে হবে ওই খাতায়। এই প্রস্তাবে চালকদের অনেকেই আপত্তি জানান। তাঁদের দাবি, অনেক রোগী পরিবারই গাড়িতে চেপে অন্য হাসপাতাল বা নার্সিংহোমে যাওয়ার কথা বলে। রোগীর আত্মীয়দের দিয়ে বিষয়টি পাল্টা লিখিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দেন চালকেরা। প্রশাসনের অবশ্য দাবি, রোগীকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে পরিজনদের সঙ্গে কথা বলা হবে। অভিযোগ পেলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নজরদারি চালানোর জন্য চার জনের একটি কমিটিও তৈরি হয়েছে। তাঁরা ১২ জন রোগীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন যাঁদের বর্ধমানে রেফার করা হয়েছিল। অথচ রোগী সেখানে পৌঁছননি।

মহকুমাশাসক বলেন, ‘‘রোগীর জীবন নিয়ে খেলা বরদাস্ত করা হবে না। অভিযোগ এলেই থানায় জানানো হবে।’’ মহকুমা হাসপাতাল থেকে চালকদের একটি টোকেন দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। রোগী বর্ধমান মেডিক্যালে পৌঁছনোর পর তাতে স্ট্যাম্প মেরে দেওয়া হবে। পুরপ্রধানের দাবি, অ্যাম্বুল্যান্সের নম্বর পৌঁছে দিতে লিফলেট বিলি করা হবে।

Patient Administration Ambulanse
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy