থানা থেকে চারশো মিটার দূরে এক বধূকে পুড়িয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল বর্ধমান শহরে। রবিবার সকালে বিসি রোডের বাড়ি থেকে দোলন দাস (২৮) নামে ওই তরুণীর দগ্ধ দেহ মেলে। স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ।
দোলনের দাদা, বর্ধমানের লাকুর্ডি খ্রিস্টান পাড়ার বাসিন্দা পরিমল নন্দীর অভিযোগ, বিয়ের সময় চার লক্ষ টাকা নগদ ও বারো ভরি সোনা দেওয়া হয়েছিল। তারপরেও বিয়ের কয়েক মাস পর থেকে ফের পণের দাবিতে নির্যাতন শুরু হয়। বছর দেড়েক আগে কন্যাসন্তান হওয়ার পরে নির্যাতন আরও বাড়ে বলেও তাঁদের দাবি। পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর বোনকে মারধর করে বাড়ি থেকে প্রায় সময়ই বের করে দেওয়া হতো। বোন বাধ্য হয়ে বাপের বাড়িতে চলে আসত। পরে দুটি পরিবার মুখোমুখি এবসায় শ্বশুরবাড়ির তরফে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে নেওয়ায় বোনকে শ্বশুরবাড়িতে পাঠানো হয় বলে জানান তিনি। এ দিন ধৃত স্বামী তড়িৎ দাস, শ্বশুর চন্দ্রময় দাস ও শাশুড়ি পার্বতী দাস ছাড়াও বোনের ভাসুরের বিরুদ্ধেও থানায় অভিযোগ করেন তাঁরা। পুলিশ ওই অভিযোগের ভিত্তিতে তরুণীকে নির্যাতন করে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্তের স্বার্থে পুলিশ মৃতার শ্বশুরবাড়ি সিল করে দিয়েছে। মৃতার বাবা পরমেশ্বর নন্দী নাতনিকে কোলে নিয়ে বললেন, “যখনই টাকা চেয়েছে দিয়েছি, তারপরেও অত্যাচার, নির্যাতন শেষ হয়নি। শেষ পর্যন্ত মেয়েটাকেই মেরে দিল।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy