ঘটনাস্থলে পুলিশ।—নিজস্ব চিত্র।
কয়লার ডিপো চালানো নিয়ে দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে গোলমালের জেরে গুলিবিদ্ধ হলেন স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার স্ত্রী। রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে অন্ডালের ধান্ডাডিহি গ্রামে। তৃণমূল অবশ্য এই ঘটনার সঙ্গে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা মানেনি। পারিবারিক বিবাদের জেরেই এমন ঘটেছে বলে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি। পুলিশ জানায়, অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গ্রামে তৃণমূল নেতা অজয় পাত্র ও শেখ আলমের দু’টি গোষ্ঠী রয়েছে। তাঁদের অনুগামীদের মধ্যে বিবাদ রয়েছে। অজয়বাবুর অনুগামী শেখ সামসুদ্দিন-সহ জনা দশেক যুবক বেশ কিছু দিন ধরে গ্রামের শেষ প্রান্তে একটি অবৈধ কয়লার ডিপো চালাচ্ছে বলে এলাকাবাসীর একাংশের দাবি। এ নিয়ে শেখ আলমের ঘনিষ্ঠদের মধ্যে ক্ষোভ জমছিল। গত তিন দিন ধরে দু’পক্ষের মধ্যে এ নিয়ে বিবাদ শুরু হয়েছে।
স্থানীয় একটি সূত্রে জানা যায়, এ দিন দুপুরে শেখ আলমের ছেলে শেখ ইসলাম ওই কয়লা ডিপোয় যান। সেখানে এক প্রস্ত কথা কাটাকাটির পরে তিনি বাড়ি ফিরে যান। অভিযোগ, কিছুক্ষণের মধ্যে শেখ সামসুদ্দিনের নেতৃত্বে এক দল লোক শেখ আলমের বাড়িতে চড়াও হয়। দু’পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি ছোড়া শুরু হয়ে যায়। এলাকাবাসীর দাবি, বেশ কিছু গুলির শব্দ শোনা যায়। তারই মধ্যে শেখ আলমের স্ত্রী তথা স্থানীয় তৃণমূল নেত্রী কাশেমা বিবি লুটিয়ে পড়েন। তা শুনে বাসিন্দারা জোট বেঁধে বেরোতেই দুষ্কৃতীরা পালায় বলে দাবি।
জখম মহিলাকে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তাঁর ছোট ছেলে শেখ রহমান সামসুদ্দিন-সহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে অন্ডাল থানায় অভিযোগ করেছেন। পুলিশ জানায়, এক জনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজ চলছে। শেখ আলমের দাবি, “এলাকার দখলের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই এই হামলা।”
সামসুদ্দিনের সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। অজয়বাবু অবশ্য গ্রামে কোনও কয়লার ডিপো চলার কথা মানতে চাননি। এই ঘটনা পারিবারিক বিবাদের জেরে ঘটেছে বলে দাবি তাঁর। তৃণমূলের অন্ডাল ব্লক সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কাঞ্চন মিত্রেরও বক্তব্য, “এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের দলের কোনও সর্ম্পক নেই। শুনেছি, দু’টি পরিবারের মধ্যে বিবাদেই এমন ঘটেছে। পুলিশ তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিক।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy