প্রায় আট মাস ধরে হাসপাতালই আস্তানা মা-মেয়ের। কখনও ভর্তি থাকা রোগীদেও দেওয়া খাবার, আবার কখনও হাসপাতাল ক্যান্টিনের বেঁচে যাওয়া খাবার খেয়েই দিন কাটছিল তাঁদের। অবশেষে বৃহস্পতিবার মেমারির একটি হোমে ঠাঁই হল তাঁদের।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, এ বছরের গোড়ার দিকে বর্ধমান রেল পুলিশ ওই দু’জনকে মাথায় ও শরীরের নানা জায়গায় আঘাত নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে। বছর সাতেকের মেয়েটির আঘাত গুরুতর না হলেও মাঝবয়সি মহিলাটি গুরুতর জখম ছিলেন। নিজেদের পরিচয়ও জানাতে পারে নি তাঁরা। পরে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পরে মহিলা জানান, তাঁর নাম এম ব্রেজ সিংহ এবং মেয়ের নাম অঞ্জলি। বাড়ি ওড়িশার সুন্দরগড় জেলার জনাটুলিতে। বাবার বাড়ি এলাহাবাদ থেকে ট্রেনে চড়ে বর্ধমানের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় ট্রেন থেকে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। তারপর থেকে কিছু মনে নেই বলেও তাঁর দাবি। হাসপাতালে বেশ কিছুদিন থাকার পরে খবর পৌঁছয় জেলা সমাজ কল্যাণ বিভাগে। সমাজ কল্যাণ আধিকারিক অনির্বাণ চক্রবর্তীর নির্দেশে ওই মহিলা ও তাঁর মেয়েকে এ দিন নিয়ে যাওয়া হয় মেমারির কলানব গ্রামের সরকারি মহিলা হোমে। হাসপাতাল ও সমাজ কল্যাণ দফতরের দাবি, ওই মহিলা মানসিক ভাবে সুস্থ নন। বাড়ির ঠিকানাতেও গোলমাল রয়েছে। আপাতত হোমে রেখে তাঁদের কাউন্সিলিং করা হবে বলেও তাঁদের দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy