Advertisement
E-Paper

কোর্টের নির্দেশে নিয়োগপত্র ইসিএলের

স্বামীর মৃত্যুর পরে জামাইয়ের উপরে নির্ভরশীল গোটা পরিবার। সেই জামাইকে নিয়োগের দাবি জানালেও খনি কর্তৃপক্ষ তা মানেননি। হাইকোর্ট নিয়োগের নির্দেশ দিলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ইসিএল। শেষে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে অন্ডালের ময়রা কোলিয়ারির কর্মী রামগতি কাহারের জামাইকে নিয়োগপত্র দিয়েছে ইসিএল।

নিজস্ব সংববাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০১৪ ০১:৫৪

স্বামীর মৃত্যুর পরে জামাইয়ের উপরে নির্ভরশীল গোটা পরিবার। সেই জামাইকে নিয়োগের দাবি জানালেও খনি কর্তৃপক্ষ তা মানেননি। হাইকোর্ট নিয়োগের নির্দেশ দিলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ইসিএল। শেষে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে অন্ডালের ময়রা কোলিয়ারির কর্মী রামগতি কাহারের জামাইকে নিয়োগপত্র দিয়েছে ইসিএল।

ইসিএল সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৬ সালের ১২ ডিসেম্বর ময়রা কোলিয়ারির কর্মী রামগতিবাবুর মৃত্যু হয়। ২০০৭ সালের জুনে তাঁর স্ত্রী আনাড়িদেবী খনি কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে জানান, তাঁদের একমাত্র মেয়ের বিয়ে হয়েছে উত্তরপ্রদেশে। তবে মেয়ে অঞ্জুদেবী ও জামাই কানাইলাল কাহার ময়রায় তাঁদের কাছেই থাকেন। তাই মৃতের পরিজন হিসেবে তাঁর জামাইকে চাকরিতে নিয়োগ করা হোক।

আনাড়িদেবী জানান, তাঁর আবেদনপত্র পাওয়ার পরে সংস্থা থেকে জামাইয়ের ডাক্তারি পরীক্ষাও করানো হয়। কিন্তু তার পরে কর্তৃপক্ষ চিঠি দিয়ে তাঁদের জানিয়ে দেন, ইসিএলের নিয়ম অনুযায়ী, জামাইকে কাজে নিযুক্ত হতে হলে তাঁর রেশন কার্ড বা ভোটার কার্ড সেই এলাকারই হতে হবে। কারণ, তাতেই প্রমাণ হয়, জামাই শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে থাকেন। শ্বশুরবাড়ি তাঁর উপর নির্ভরশীল। কিন্তু এ ক্ষেত্রে কানাইলালবাবুর রেশন ও ভোটার কার্ড উত্তরপ্রদেশের।

আনাড়িদেবীর দাবি, ইসিএল এ কথা জানানোর পরে তিনি তাঁর মেয়েকে নিয়োগের আবেদন জানান। কিন্তু সাড়া না মেলায় ২০০৯ সালের শেষ দিকে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন। তাঁর আইনজীবী পার্থ ঘোষ জানান, ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল আদালত ইসিএলকে জামাই সত্যি পোষ্য হিসেবে যথার্থ কি না খতিয়ে দেখে চাকরিতে নিয়োগের নির্দেশ দেন। ইসিএল সেই রায়ের বিরুদ্ধে আবার হাইকোর্টে একটি মামলা করে। চলতি বছরের ৯ জুলাই ডিভিশন বেঞ্চ ইসিএলকে জানিয়ে দেয়, জামাইয়ের রেশন ও ভোটার কার্ড এক এলাকার না হলেও তাঁকে নিয়োগ না করার কোনও কারণ নেই। আট সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়।

ইসিএল এ বার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। পার্থবাবু জানান, ২২ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট জানায়, মৃত কর্মীর মেয়ের রেশন ও ভোটার কার্ড বাপেরবাড়ির ঠিকানাতেই নথিভুক্ত। তাঁর ছেলেমেয়েরা ময়রা কোলিয়ারি এলাকার স্কুলেই পড়ে। তা থেকে বোঝা যায়, জামাইয়ের উপরে শ্বশুরবাড়ি নির্ভরশীল। তাঁকে নিয়োগ করতে হবে। ইসিএলের তরফে জানানো হয়, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সম্প্রতি কানাইলালবাবুকে ইসিএল নিয়োগপত্র দিয়েছে বলে জানান পার্থবাবু।

andal ecl appointment letter high court
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy