বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে এসএফআইয়ের বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগকে কেন্দ্র করে স্মারকলিপি দিল এসএফআইয়ের বর্ধমান জেলা শাখা। সংগঠনের অভিযোগ, বিভিন্ন বিষয়ে অসঙ্গতি থাকলেও কর্তৃপক্ষ কোনও সদর্থক পদক্ষেপ নিচ্ছেন না।
সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন কলেজের রেজিষ্ট্রেশন ফি’র মধ্যে কোনও সঙ্গতি না থাকায় সমস্যায় পড়ছেন পড়ুয়ারা। এ ছাড়া কলেজে প্রথম বর্ষের ভর্তিতে তৃণমূল পরিচালিত ছাত্র সংসদের দুর্র্নীতি, কোর্সের ফি বৃদ্ধি, তৃতীয় বর্ষের মার্কশিটে চূড়ান্ত অসঙ্গতি ইত্যাদি বিষয়ে অভিযোগ করে এসএফআই। তাদের আরও অভিযোগ পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ডেও প্রচুর ভুল থাকছে। গোলাপবাগ ও বিভিন্ন কলেজ ক্যাম্পাসে বহিরাগত অবাধ প্রবেশ পড়ুয়াদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করছে বলেও বৃহস্পতিবারের স্মারকলিপিতে জানান হয়।
এ দিন দুপুর ১টা নাগাদ এসএফআইয়ের একটি বড় মিছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন রাজবাটীতে আসে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মোতায়েন ছিল ব্যাপক পুলিশি পাহারা। তবে উপাচার্য স্মৃতিকুমার সরকার এসএফআইয়ের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করেননি। কারণ তাঁর মতে, “স্মারকলিপি জমা দেওয়ার বিষয়ে ওই ছাত্র সংগঠনকে অনুমতি দেওয়া হয়নি।” যদিও গত কালই এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক দীপঙ্কর দে উপাচার্যের বিরুদ্ধে তৃণমূলের প্রতি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করেন। এ দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ছিলেন এসএফআইয়ের রাজ্য কমিটির সভাপতি মধুজা সেন রায় ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শতরূপ ঘোষ। মধুজা দেবীর অভিযোগ, “বর্ধমানের উপাচার্য ছাড়া সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের কাছেই আমরা স্মারকলিপি দিতে পারছি। যদিও অন্যান্য সংগঠনের স্মারকলিপি জমা নিতে স্মৃতিকুমারবাবুর সময় হচ্ছে। এর প্রতিবাদে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও শিক্ষামন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেব।” যদিও রেজিষ্টার এসএফআইয়ের স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।
এসএফআইয়ের এই কর্মসূচিকে কটাক্ষ করে টিএমসিপির বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের সভাপতি দীপক পাত্র বলেছেন, “এসএফআইয়ের আজকের মিছিলে পড়ুয়ারা ছিল না। সিপিএম ও ডিওয়াইএফের লোকেদের নিয়ে ওরা আজকে মিছিল করেছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy