Advertisement
০১ মে ২০২৪

টানা বিদ্যুৎ বিভ্রাটে নাজেহাল দুর্গাপুর

কাজের সময়ে টানা লোডশেডিংয়ের জেরে নাকাল হল দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার ও আশপাশের এলাকা। সকাল ১০টা থেকে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা এই বিদ্যুৎ বিভ্রাটে কাজকর্ম ব্যাহত হল অফিস-কাছারিতে। বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা দুর্গাপুর প্রজেক্টস লিমিটেড (ডিপিএল) জানিয়েছে, একটি লাইনে জরুরি মেরামতির জন্য বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রাখতে হয়েছিল।

অন্ধকারেই কাজকর্ম। সিটি সেন্টারে বৃহস্পতিবার তোলা নিজস্ব চিত্র।

অন্ধকারেই কাজকর্ম। সিটি সেন্টারে বৃহস্পতিবার তোলা নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০১৪ ০১:১৫
Share: Save:

কাজের সময়ে টানা লোডশেডিংয়ের জেরে নাকাল হল দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার ও আশপাশের এলাকা। সকাল ১০টা থেকে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা এই বিদ্যুৎ বিভ্রাটে কাজকর্ম ব্যাহত হল অফিস-কাছারিতে। বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা দুর্গাপুর প্রজেক্টস লিমিটেড (ডিপিএল) জানিয়েছে, একটি লাইনে জরুরি মেরামতির জন্য বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রাখতে হয়েছিল।

এ দিন সিটি সেন্টার, সেপকো, সেল কো-অপারেটিভ, নন-কোম্পানি, সিমেন্ট কলোনি, গ্রিন পার্ক, রিকল পার্ক, নব ওয়ারিয়া গ্রামে বিদ্যুৎ চলে যায়। পিয়ালা জল পাম্পিং স্টেশনেও বিদ্যুৎ ছিল না। বহু সরকারি অফিসে জেনারেটরের সংযোগ না থাকায় কাজকর্ম লাটে ওঠে। নাসির্ংহোম এবং ক্লিনিকগুলিতে টানা জেনারেটর চালিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক রাখা হয়। গরমে বিপাকে পড়ে স্কুলের পড়ুয়ারা। দুপুর দেড়টা নাগাদ বিদ্যুৎ আসে। সিটি সেন্টারের প্রবীণ বাসিন্দা অমিত বসু, জয়দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়েরা বলেন, “একে টানা বিদ্যুৎ নেই। তার উপরে মাঝে-মাঝে এক পশলা করে বৃষ্টির পরে ভ্যাপসা গরম আরও বাড়ে। বেশ কষ্ট হয়েছে।”

বাসিন্দারা জানান, আগাম কোনও ঘোষণা ছাড়া বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় তাঁরা ভেবেছিলেন, সাময়িক বিঘ্ন ঘটেছে। কিন্তু টানা বিভ্রাটে মুশকিলে পড়েন সকলেই। বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত কয়েক মাসে লোডশেডিং নিত্য ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ডিপিএলে ১১০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ষষ্ঠ এবং তিনশো মেগাওয়াট ক্ষমতার সপ্তম ইউনিটটি বাদে বাকিগুলি উৎপাদনহীন হয়ে গিয়েছিল আগেই। গত কয়েক মাস ধরে এই ইউনিট দু’টিও নানা কারণে অনিয়মিত। ফলে, ডিপিএল বাইরে থেকে বিদ্যুৎ কিনে তা সরবরাহ করে। সে জন্যই মাঝে-মধ্যে লোডশেডিংয়ের কবলে পড়তে হচ্ছে বলে বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ। দিন কুড়ি আগে আড়াইশো মেগাওয়াটের অষ্টম ইউনিট চালুর পরে স্বস্তি পেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু এ দিনের অভিজ্ঞতায় তাঁরা ক্ষুব্ধ।

ডিপিএল সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার একটি লাইন গত কয়েক দিন ধরে গড়বড় করছিল। এ দিন সকালে মেরামতি শুরু হয়। যত তাড়াতাড়ি কাজ শেষ হবে বলে কর্মীরা মনে করেছিলেন, তা হয়নি। সংস্থার এক আধিকারিক বলেন, “কাজ করতে করতে কর্মীরা দেখেন, সমস্যা আরও জটিল। তাই সারাতে বেশি সময় লেগেছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

durgapur load shedding
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE