Advertisement
E-Paper

নেতার বিরুদ্ধে উপযুক্ত তদন্তের আর্জি

তথ্যপ্রযুক্তি পার্কের ভিতরে ঢুকে একটি সংস্থার ডিরেক্টর ও কর্মীদের মারধর ও ভাঙচুরে অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে সোমবার জামিনঅযোগ্য ধারায় মামলা রুজুর আর্জি জমা পড়ল দুর্গাপুর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। সংস্থার ডিরেক্টর রীতেশকুমার দ্বিবেদী বলেন, “পুলিশ জামিনযোগ্য ধারায় মামলা করায় অভিযুক্তরা জামিন পেয়ে গিয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে মামলা দায়ের করতে হল।” এ বার পুলিশ উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে পুরো বিষয়টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ই-মেল করে জানাবেন বলে জানান রীতেশবাবু।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০১৪ ০০:০২

তথ্যপ্রযুক্তি পার্কের ভিতরে ঢুকে একটি সংস্থার ডিরেক্টর ও কর্মীদের মারধর ও ভাঙচুরে অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে সোমবার জামিনঅযোগ্য ধারায় মামলা রুজুর আর্জি জমা পড়ল দুর্গাপুর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। সংস্থার ডিরেক্টর রীতেশকুমার দ্বিবেদী বলেন, “পুলিশ জামিনযোগ্য ধারায় মামলা করায় অভিযুক্তরা জামিন পেয়ে গিয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে মামলা দায়ের করতে হল।” এ বার পুলিশ উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে পুরো বিষয়টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ই-মেল করে জানাবেন বলে জানান রীতেশবাবু। পুলিশ জানিয়েছে, আদালতের কাগজপত্র দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।

দীপাবলি উপলক্ষে বুধবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ গাঁধী মোড়ের ওয়েবেল তথ্যপ্রযুক্তি পার্ক চত্বরে বাজি পোড়াচ্ছিলেন সংস্থার তিন কর্মী। তাঁদের অভিযোগ, সেই সময়ে বাজি পোড়ানো নিয়ে বচসার জেরে হিরা বাউড়ি দলবল নিয়ে উপরে চড়াও হন। বাধা দিতে গিয়ে প্রহৃত হন সংস্থার ডিরেক্টর রীতেশবাবু। গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। রাতেই পুলিশ হিরা ও তাঁর দুই অনুগামীকে আটক করে। ধৃতদের বিরুদ্ধে অনধিকার প্রবেশ, মারপিট, গুন্ডামি, ভাঙচুর, গালিগালাজ, হুমকি, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। এর আগে এপ্রিলের মাঝামাঝি স্থানীয় এক মহিলা হিরা ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ করেছিলেন। সেই মামলাটিও এর সঙ্গে জুড়ে দেয় পুলিশ। প্রথম মামলায় জামিন পেয়ে গেলেও দ্বিতীয়টিতে ধৃতদের জামিন নাকচ করে বিচারক ১৪ দিনের জেল-হাজতে পাঠান।

পুলিশ ধৃতদের বিরুদ্ধে এই মারধরের ঘটনায় জামিনযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন রীতেশবাবু। তাঁদের আরও অভিযোগ, গত বছর কালীপুজোর সময়ে চাঁদা নিয়ে জোরজুলুম করেছিলেন হিরা বাউড়ি ও তাঁর অনুগামীরা। লোক নিয়োগ নিয়েও সংস্থার কর্মীদের হেনস্থা করা হয়েছে। পার্কের ভিতরে ঢুকে হামলা চালানোয় তাঁর এবং কর্মীদের পরিবার আতঙ্কিত। রীতেশবাবুর কথায়, “গুরুতর আহত হয়েছি আমি। প্রাণহানিও হতে পারত। কিন্তু পুলিশ খুনের চেষ্টার ধারা দেয়নি। অভিযুক্তেরা জামিন পেয়েছে।” পুলিশ অবশ্য জানায়, লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। রীতেশবাবুর আইনজীবী আনন্দময় বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, পুলিশের তদন্তে সন্তুষ্ট না হলে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৬ (৩) ধারায় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পুনরায় তদন্তের জন্য আবেদনের সুযোগ রয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশকে অভিযোগের উপযুক্ত তদন্ত করার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, “আমরা এ যাবৎ পুলিশি তদন্তে সন্তুষ্ট নই। তাই এ দিন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা এবং গুরুতর আঘাত করার অভিযোগ আনা হয়েছে।”

hira bauri durgapur ritesh kumar dwivedi technology park durgapur magistrate court magistrate court
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy