Advertisement
E-Paper

নিরাপত্তার স্বার্থে ক্লাস বন্ধের সিদ্ধান্ত কলেজে

নিরাপত্তার স্বার্থে ক্লাস ও কলেজের অন্যান্য কাজ বয়কটের সিদ্ধান্ত নিলেন বিবেকানন্দ কলেজের শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারীরা। টিচার-ইন-চার্জ জাহাঙ্গির হোসেনের দাবি, অধ্যক্ষ ব্যক্তিগত কাজে বাইরে রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে আমরা চটজলদি কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারব না। ক্লাস চলাকালীন কোনও দুর্ঘটনা ঘটে গেলে ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা কে দেবে? ১৪ তারিখ রাতে ফেরার পরে এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবেন।”

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৪ ০১:০১
ঘটনার প্রতিবাদে এসএফআইয়ের পথসভা।—নিজস্ব চিত্র।

ঘটনার প্রতিবাদে এসএফআইয়ের পথসভা।—নিজস্ব চিত্র।

নিরাপত্তার স্বার্থে ক্লাস ও কলেজের অন্যান্য কাজ বয়কটের সিদ্ধান্ত নিলেন বিবেকানন্দ কলেজের শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারীরা। টিচার-ইন-চার্জ জাহাঙ্গির হোসেনের দাবি, অধ্যক্ষ ব্যক্তিগত কাজে বাইরে রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে আমরা চটজলদি কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারব না। ক্লাস চলাকালীন কোনও দুর্ঘটনা ঘটে গেলে ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা কে দেবে? ১৪ তারিখ রাতে ফেরার পরে এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবেন।”

মঙ্গলবার ওই কলেজেরই এক শিক্ষিকাকে চড় মারার প্রতিবাদ-আন্দোলনে যোগ দেওয়ায় মারধর করা হয় তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্র, হেমন্ত চক্রবর্তীকে। হেমন্তকে বাঁচাতে গিয়ে মার খায় তিতাস বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক ছাত্রীও। পড়ুয়াদের একাংশ অভিযোগ করে, দর্শনের ওই শিক্ষিকাকে নিগ্রহের ঘটনার পর থেকেই কয়েকজনকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। তাঁদের দাবি, হেমন্তকে মারধর তারই চরম পরিণতি। টিএমসিপির কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও দায়ের করেন হেমন্ত। পাল্টা অভিযোগ করা হয় টিএমসিপির তরফেও। বর্ধমান থানার আইসি আব্দুল গফ্ফর বলেন, “মঙ্গলবার কলেজে দুই দলের মধ্যে মারপিট হয়। দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। আমরা তদন্ত করছি।” বুধবার ওই ঘটনার প্রতিবাদে ক্লাস না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা। দুপুরে আরও একটি বৈঠক করে নিরাপত্তার অভাবের অভিযোগ তুলে বৃহস্পতি ও শুক্রবারও ক্লাস বয়কট ও কলেজের অন্য কাজ না করার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। তবে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএসসি অনার্স পার্ট ২-এর প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।

এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক দীপঙ্কর দে জানান, অধ্যপকদের এই সিদ্ধান্তকে তাঁরা সমর্থন করছেন। প্রকৃত দোষীদের শাস্তিরও দাবি করেন তাঁরা। এসএফআইয়ের দাবি, শিক্ষিকাকে চড় মারার ঘটনায় অভিযুক্ত টিএমসিপি ছাত্রকে কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তবুও সে কলেজের ঘুরছে। এমনকী গতকাল ওই দুই ছাত্রছাত্রীকে মারধরের ঘটনাতেও সে জড়িত ছিল। এই ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষের চুপ কেন, সেই দাবিতে বুধবার সন্ধ্যায় শহরের বিজয়তোরণ এলাকায় একটি পথসভাও করে এসএফাইয়ের বধর্র্মান শহর লোকাল কমিটি। তবে টিএমসিপি-র বর্ধমান শহর কমিটির সভাপতি রাসবিহারী হালদার বলেন, “এমন ঘটনা ঘটে থাকলে তা অবশ্যই দুর্ভাগ্যজনক। ছাত্রছাত্রী নিগ্রহের সঙ্গে আমাদের কেউ যুক্ত থাকলে আমরা ঘটনার তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।”

এর আগেও ওই শিক্ষিকাকে চড় মারার প্রতিবাদে কর্মবিরতি ডেকেছিলেন শিক্ষকেরা।

vivekannada college burdwan class closed
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy