Advertisement
২১ মে ২০২৪

প্রতারণার নালিশ, ধৃত লগ্নি সংস্থার ডিরেক্টর

আমানতকারীর গচ্ছিত টাকা সময় মতো ফেরত না দেওয়ার অভিযোগে সুমঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি অর্থলগ্নি সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টরকে গ্রেফতার করল বর্ধমানের রানিগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ জানায়, ধৃত মধুমিতা অধিকারীর বাপের বাড়ি কুলটির সীতারামপুরে। মঙ্গলবার রাতে সেখান থেকেই তাঁকে ধরা হয়। তাঁর স্বামী, সংস্থার আর এক ডিরেক্টর সুব্রত অধিকারীকে অবশ্য বুধবার রাত পর্যন্ত ধরা যায়নি।

সীতারামপুরে ধৃত লগ্নি সংস্থার আধিকারিক

সীতারামপুরে ধৃত লগ্নি সংস্থার আধিকারিক

নিজস্ব সংবাদদাতা
আসানসোল ও বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০১৪ ০২:১৩
Share: Save:

আমানতকারীর গচ্ছিত টাকা সময় মতো ফেরত না দেওয়ার অভিযোগে সুমঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি অর্থলগ্নি সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টরকে গ্রেফতার করল বর্ধমানের রানিগঞ্জ থানার পুলিশ।

পুলিশ জানায়, ধৃত মধুমিতা অধিকারীর বাপের বাড়ি কুলটির সীতারামপুরে। মঙ্গলবার রাতে সেখান থেকেই তাঁকে ধরা হয়। তাঁর স্বামী, সংস্থার আর এক ডিরেক্টর সুব্রত অধিকারীকে অবশ্য বুধবার রাত পর্যন্ত ধরা যায়নি। তিনি পলাতক। এ দিন আসানসোল আদালতে মধুমিতার সাত দিন পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানানো হলেও শেষমেশ তাঁর জামিন মঞ্জুর হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আলুর ব্যবসায় লগ্নির নামে সাধারণ মানুষের থেকে টাকা তুলত সুমঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিজ। তাদের বন্ড কিনলে সামান্য সময়ে বিপুল লাভের আশ্বাস দেওয়া হত। আলু সংক্রান্ত টাস্ক ফোর্সের সদস্য গোপাল মণ্ডল জানান, সম্প্রতি ‘পানাগড় কোল্ড স্টোরেজ’ নামে একটি হিমঘর কিনেছিল সংস্থাটি। কিন্তু সেখানে আলু মজুত করা হয়নি। তাঁদের আন্দাজ, সংস্থাটি ইতিমধ্যে বন্ড দিয়ে বাজার থেকে দু’তিনশো কোটি টাকা তুলে ফেলেছে।

সংস্থার কর্তাদের গ্রেফতার ও আমানতকারীদের টাকা ফেরতের
দাবিতে বর্ধমানে জেলাশাসকের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন
নানা লগ্নি সংস্থার এজেন্টরা। বুধবার তোলা নিজস্ব চিত্র।

বর্ধমানের আলু ব্যবসায়ী সমিতি ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অধিকারী দম্পতির বাড়ি হুগলির জাঙ্গিপাড়ায়। সংস্থাটির সদর দফতর কলকাতায়। আসানসোল মহকুমায় সুমঙ্গলের কোনও অফিস না থাকলেও এজেন্টদের মাধ্যমে এলাকা থেকে আমানত সংগ্রহ করা হত। মঙ্গলবার রানিগঞ্জের বাসিন্দা, প্রাক্তন কলেজ শিক্ষক রামদুলাল বসু পুলিশে অভিযোগ করেন, ২০১২ সালের ২৫ জানুয়ারি দুর্গাপুরের এক এজেন্টের মাধ্যমে তিনি এক লক্ষ টাকার একটি বন্ড কিনেছিলেন। ওই এজেন্ট তাঁকে জানিয়েছিলেন, ২০১৩-র ২৪ এপ্রিল বন্ডের মেয়াদ ফুরোলে এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা ফেরত দেওয়া হবে।

রামদুলালবাবুর অভিযোগ, “নির্দিষ্ট তারিখ পেরিয়ে যাওয়ার পরে টাকা ফেরত না পেয়ে আমি বারবার এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করি। তিনি আমার ফোন ধরেননি। অগত্যা পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি জানাই। তাঁর পরামর্শেই রানিগঞ্জ থানায় সংস্থাটির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করি।” রাতেই মধুমিতাকে সীতারামপুরের রায়পাড়া থেকে ধরা হয়। তিনি অবশ্য গোটা ঘটনা নিয়ে কোনও কথা বলতে চাননি। দুর্গাপুরে সংস্থাটির যে অফিস ছিল, সেটি বন্ধ। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এলাকা থেকে সংস্থাটি কত টাকা সংগ্রহ করেছে, তার হিসেবও পুলিশের কাছে নেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

forgery cheat fund agent arrest asansol
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE