Advertisement
E-Paper

বই ছাড়া ক্লাস শুরু নতুন সিলেবাসে

নতুন সিলেবাস চালু হয়েছে এই বছর থেকে। ক্লাস শুরুর পরে সপ্তাহ ঘুরতে চলল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত জেলার কোনও স্কুলে নবম শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি ও অঙ্কের বই এসে পৌঁছয়নি। বিপাকে পড়ছেন পড়ুয়া ও শিক্ষকেরা। জেলা স্কুস পরিদর্শকের দফতর জানায়, কবে বই আসবে সে ব্যাপারে তাদের কাছেও কোনও খবর নেই।

অর্পিতা মজুমদার

শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০১৫ ০১:৩৬

নতুন সিলেবাস চালু হয়েছে এই বছর থেকে। ক্লাস শুরুর পরে সপ্তাহ ঘুরতে চলল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত জেলার কোনও স্কুলে নবম শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি ও অঙ্কের বই এসে পৌঁছয়নি। বিপাকে পড়ছেন পড়ুয়া ও শিক্ষকেরা। জেলা স্কুস পরিদর্শকের দফতর জানায়, কবে বই আসবে সে ব্যাপারে তাদের কাছেও কোনও খবর নেই।

জেলার বিভিন্ন স্কুলে খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, গত ২ জানুয়ারি থেকে ক্লাস শুরু হয়ে গিয়েছে। জেলা স্কুল পরিদর্শকের দফতরের মাধ্যমে স্কুলে-স্কুলে নবম শ্রেণির ‘বাংলা পাঠ সংকলন’, ‘লার্নিং ইংলিশ স্টেপ ৪’ এবং গণিত বই পাঠানোর কথা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের। অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলে দেরিতে পাঠ্যপুস্তক আসার সমস্যা চলে আসছে বহু বছর। আগে বছরে দু’বার পরীক্ষা হতো। বই দেরিতে এলেও পরের দিকে বাড়তি পড়াশোনা করে পরিস্থিতি সামলে নেওয়ার সুযোগ পেত পড়ুয়ারা। কিন্তু এখন আর সে সুযোগ নেই। কারণ, ২০০৭ সাল থেকে শুরু হয়েছে ইউনিট টেস্ট। ফলে, স্কুল খোলার পরে প্রথম ইউনিট টেস্টের আগে হাতে অল্প সময় থাকে। শিক্ষকেরা জানান, পুরনো সিলেবাস চালু থাকলে পুরনো বই দিয়ে শুরুতে কোনও রকমে কাজ চালিয়ে নেওয়া যেত। পরে নতুন বই এলে সবার হাতে তা পৌঁছে যেত। কিন্তু এ বার নতুন সিলেবাস। তাই সেই সুযোগ নেই। নতুন সিলেবাসের বই নিয়ে কোনও ধারণাও নেই শিক্ষকদের। তাঁরা জানান, মার্চের তৃতীয় সপ্তাহ থেকেই শুরু হয়ে যাবে ইউনিট টেস্ট। কাজেই পাঠ্যপুস্তক দেরিতে এলে সমস্যা ক্রমশ বাড়বে বলে জানান তাঁরা। পড়ুয়ারা জানায়, পাঠ্যপুস্তক হাতে থাকলে বাড়ি গিয়ে অনুশীলনের সুযোগ মেলে। ফলে, পড়া মনে রাখতে সুবিধা হয়।

বেশ কয়েকটি স্কুলের পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পাঠ্যপুস্তকের অভাবে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলির পড়াশোনা কার্যত এগোচ্ছে না। দুর্গাপুরের বেনাচিতির রামকৃষ্ণপল্লি বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষিকা সুতপা বক্সী, কাঁকসার সিলামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুকুমার পাল, দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের নতুনডাঙা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সন্তোষ চট্টরাজেরা জানান, সংশ্লিষ্ট দফতরে এই সমস্যার কথা জানানো হয়েছে। স্কুল শিক্ষা দফতর থেকে এ ব্যাপারে কোনও নির্দেশিকা আসেনি। কবে পড়ুয়ারা পাঠ্যপুস্তক হাতে পাবে, তা বলতে পারেননি জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) মালবিকা সাহা। তিনি বলেন, “নবম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক নিয়ে আমাদের হাতে কোনও তথ্য নেই। রাজ্য থেকে বই এলেই তা সংশ্লিষ্ট দফতরের মাধ্যমে স্কুলে-স্কুলে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।”

arpita majundar durgapur syllabus
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy